মধ্যবয়সে শরীরচর্চার উপকারিতা



 ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স পঞ্চাশ পেরোলেই আর ব্যায়ামের উপায় নেই? একেবারেই ভুল ধারণা। বরং এই সময়ে আপনার ব্যায়াম বেশি বেশি করা প্রয়োজন। পঞ্চাশ কিংবা ষাট হলেই দেহের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ব্যায়াম। 


শরীরচর্চা


বয়স বাড়তে শুরু করলে পেশি ক্ষয় হতে শুরু করে৷ ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্ষয়রোধ করে পেশি গঠনের সুযোগ পাওয়া যায়৷ পেশি দেহের ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে। তাই শুয়ে বসে কাটালে দেহের মেটাবলিজম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


এছাড়াও হৃদরোগ, বাত, গেঁটে ব্যথা ছাড়াও নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। বয়স পঞ্চাশ কিংবা ষাট হলেই কার্ডিও এবং এরোবিক ব্যায়াম করতে হয়। ওয়েট ট্রেনিংও এই সময় কার্যকর৷ তবে অনেকের পক্ষেই হয়তো এমন কিছু করা সম্ভব না। তাই বেশকিছু সহজ পদ্ধতিতে ব্যায়াম করা সম্ভব।


হাঁটা

হাঁটাহাঁটি সবসময়ই ভালো। তবে হাঁটার উদ্দেশ্যেই হাঁটা উচিত। সকাল এবং বিকেলে নিয়ম করে হাঁটার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়মমাফিক হাঁটলে বিভিন্ন রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এতে ব্যালেন্স ঠিক রাখা সম্ভব এবং সহজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলবেন না আপনি। 


জগিং

হার্ট রেট বাড়াতে জগিং খুবই কার্যকরী। সকালে জগিং করার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকবে। একইসাথে দেহের পেশিও গড়তে শুরু করবে। 


ইয়োগা

সকালে নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাস গড়লে মন আর স্বাস্থ্য দুইই ভালো থাকবে। আজকাল ভোরে অনেকে দল বেধে যোগাসনে বসেন৷ এমনভাবে চর্চা শুরু করাটা ভালো। 


জিম

জিমে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এর মাধ্যমে পেশি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ট্রেনারের সাহায্য নেয়া উচিত। পরামর্শ ছাড়া উল্টোপাল্টা ব্যায়াম না করাই ভালো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.