বিবাহিত পুরুষরা বাথরুমে বেশি সময় কাটান যেসব কারণে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ


এআইআর ইনস্টিটিউট অব রিয়েলাইজেশন এবং এআইআর সেন্টার অব এনলাইটেনমেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা রবি এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রত্যেক বিয়ের সম্পর্ক খুব সুন্দর হয়। যত্ন করে তাকে লালন পালন করতে হয়। স্বামী-স্ত্রী হয়ত সব পদক্ষেপে একে অপরকে সাপোর্ট নাও করতে পারেন।


জীবনের সব সময় একরকমভাবে মসৃণ নাও হতে পারে। কিন্তু দুই পক্ষকেই মানিয়ে নিতে হবে। যদি একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারেন, তাহলে সমস্যা একটু একটু করে বাড়বে। আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।


চুপ করে না থেকে কথা বলুন


আপনার স্বামী আপনাকে সময় দেয় না। তাই আপনাদের মধ্যে কথোপকথন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার স্বামীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা প্রয়োজন। কেন তিনি সারাদিন ব্যস্ত থাকার পর রাতে ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এই প্রশ্ন করা প্রয়োজন। বদলে তার উত্তরটাও শুনতে হবে।


আপনি তাকে পরিষ্কার করে বলুন যে, শিশুরা তার সঙ্গে সময় কাটাতে চায়। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত এবং ভালো হতে পারে।


সবসময় অভিযোগ করবেন না


আপনার স্বামীর কাছে সব সময় অভিযোগ করবেন না। সমস্যা নিয়ে সারাক্ষণ কথা বলে গেলেও হবে না। এতে আপনার সমস্যা ঠিক হবে না। কারণ এতে আপনিও নিজের জন্য সময় পাবেন না। তাই আপনার স্বামীর সঙ্গ সরাসরি কথা বলুন। স্পষ্ট করে কথা বলুন। আপনাকে তাঁকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে, এই সম্পর্ক থেকে আপনি কী চান।


আপনার স্বামীকে যে কোনোভাবে কাছে টানার চেষ্টা করন। আমি মানছি যে, মানসিক ঘনিষ্ঠতা না থাকলে মহিলাদের জন্য শারীরিক সম্পর্কে মনোযোগ দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু তাও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।


বিয়ে মানে একটা সুন্দর সম্পর্ক। একে অপরকে ঠিক রাখার ও একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে থাকার জন্য নানা পদ্ধতিই কাজে লাগাতে হবে আপনাকে। চেষ্টা করে যেতে হবে। এর মধ্যে নিজের জন্যেও সময় খুঁজে নিতে হবে। আপনার স্বামীর সঙ্গে সব ভাবনা শেয়ার করতে হবে। একে অপরের সমস্যার কথা শুনতে হবে। দুজনেই এফোর্ট দিলে একমাত্র আপনার বিবাহিত জীবন ঠিকঠাক চলবে। নাহলে বিয়ে ভাঙতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আপনাদের বাচ্চাও আছে। তাই সবার কথা খেয়াল রাখুন। আপনাদের সম্পর্কে এগিয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.