দুই বছর ধরে বিনা পয়সায় দিল্লির পাঁচতারকা হোটেলে থাকছেন তিনি!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত রোজেট হাউজ নামের একটি পাঁচ তারকা হোটেল তাদের একজন অতিথির বিরুদ্ধে ৫৮ লাখ রূপি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই অতিথি হোটেলের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশে প্রায় দুই বছর বিনা পয়সায় হোটেলে থেকেছেন।


অভিযুক্ত কর্মীরা হোটেলের বিল করার প্রক্রিয়ায় কারচুপি করে ওই ব্যক্তিকে কোনো টাকা প্রদান ছাড়াই ৬০৩ দিন থাকতে দিয়েছেন। 


অঙ্কুশ দত্ত নামের ওই অতিথির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হোটেলের একজন কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ ও চক্রান্ত করে অঙ্কুশ দত্ত তাদের বড় অংকের ক্ষতি করেছেন।  অভিযোগপত্রে বলা হয়, "আসাম থেকে আগত অঙ্কুশ দত্ত ২০১৯ সালের ৩০ মে এই হোটেলে ওঠেন এবং একদিনের জন্য একটি রুম বুক করেন। তিনি তার পরিচয়ের প্রমাণস্বরূপ পাসপোর্টের কপি দেখান। কিন্তু ৩১ মে'তে তিনি হোটেল ছেড়ে যাননি, বরং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এই হোটেলে থেকেছেন।"


অভিযোগপত্রে ফ্রন্ট অফিস ডিপার্টমেন্ট এর প্রেম প্রকাশ নামের একজন কর্মীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। রুমের ভাড়া নির্ধারণ এবং অতিথিদের কাছ থেকে পাওনা বকেয়া আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এই বিভাগের প্রধান হওয়ার সুবাদে তিনি অতিথিদের বকেয়া বিলের বিষয়টি দেখতেন এবং তার কাছে একটি বিশেষ আইডি ও পাসওয়ার্ড ছিল, যার মাধ্যমে তিনি সব অতিথিদের একাউন্টে ঢুকতে পারতেন।


যদিও অঙ্কুশ দত্ত বিল পরিশোধ করেননি, কিন্তু তবুও প্রকাশ তাকে হোটেলের নিয়মের বাইরে গিয়ে এত দীর্ঘ সময় অত্যন্ত দামি একটি কক্ষে থাকতে দিয়েছিলেন এবং তার যে বকেয়া পাওনা রয়েছে সে সম্পর্কে সিনিয়র কর্মকর্তাদেরও জানাননি।


অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এ হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার পর অতিথিদের কারো বিল বাকি থাকলে সে বিষয়ে একটি ডকুমেন্ট রাখতে হবে। "নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন অতিথির নামে একটাই বিল করা যাবে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও আর্থিক নিয়ন্ত্রকের (এফসি) তথ্য ও নির্দেশনার জন্য তাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে।


যাইহোক, তবে ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবরের আগপর্যন্ত এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে প্রকাশই অঙ্কুশ দত্তের বকেয়া পাওয়া নিয়ে পে মাস্টার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। কিন্তু অভিযোগপত্র বলা হয়েছে, অন্যান্য অতিথিদের রিপোর্ট নিয়মিত সিইও ও এফসির কাছে পাঠানো হলেও, অঙ্কুশ দত্তের নাম সেখানে দেওয়া হয়নি। ফলে তার উপস্থিতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্ধকারেই থেকে গেছেন। এছাড়াও, অঙ্কুশ দত্ত জাল চেকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.