ফ্রিজে দুধ রাখার সময়ে এই ভুলটি করছেন না তো?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আজকালকার দিনে ফ্রিজ ছাড়া এক পা চলার কথা ভাবা যায় না। প্রতিদিন রান্না করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। ফলে তাদের জন্য ফ্রিজই ভরসা।


এদিকে, গরমে রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা জল হোক কিংবা মোহিতো বা মিল্ক শেক সবকিছুরই মুশকিল আসান ফ্রিজ। কিন্তু ফ্রিজের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম আছে, যা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই অথবা জানি না।

যেমন- বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা থাকলে বারবার ফ্রিজ না খুলে তার দরজা বন্ধ রাখতে হবে। এতে ফ্রিজের ভেতরের শীতলতা অনেকক্ষণ বজায় থাকবে। খাবার দাবারও ভালো থাকবে।


আপনি যদি ফ্রিজ ২-৩ ঘণ্টা বন্ধ রাখেন বা সারা দিনে কয়েকবার যদি বন্ধ রাখেন, তাহলে ফ্রিজ ঠিকমতো কুলিং করতে পারবে না। যার কারণে ভেতরে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


এমনকী সারা বছর ফ্রিজের সুইচ অফ না করলেও সমস্যা নেই। তবে ফ্রিজে কোনো যান্ত্রিক সমস্যা থাকলে বা পরিষ্কার করতে হলে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। 


কখন ফ্রিজ বন্ধ রাখা যায়? আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন, তবে আপনি এটি বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু তাই বলে দিনে ১-২ ঘণ্টা বন্ধ করার কোনো অর্থ নেই।


আমরা অনেকেই জানি না যে ফ্রিজের কোথায় কী রাখা হচ্ছে, তার উপর এর তাপ সংরক্ষণ নির্ভর করে। হোম ইনসিওরেন্স সংস্থার বিশেষজ্ঞ ক্রিস বিজলে জানিয়েছেন, ফ্রিজে শুধু খাবার রাখলেই হবে না, রাখতে হবে ঠিক জায়গায়।


ফ্রিজের দরজা আটকে রাখার জায়গায় অনেকেই দুধের বোতল রাখেন। এটা একদমই উচিত নয়। কারণ, ডোর কম্পার্টমেন্টস সব সময় ফ্রিজের অন্য অংশের তুলনায় বেশি গরম হয়।


৩২ থেকে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে যাতে তাপমাত্রা থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। সেই সঙ্গে কখনই ফ্রিজের দরজায় দুধের প্যাকেট রাখবেন না। কারণ, ওখানে তাপমাত্রা কম থাকে। দুধের মধ্যে কয়েক চিমটি নুন ফেলে ফ্রিজে রাখতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.