কোমরে ব্যথায় নাজেহাল? নিয়ন্ত্রণে জানুন কিছু টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেক কারণেই কোমরে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত ওজন বেড়ে গেলে পিঠ ও কোমরে চাপ পড়ে। তখন ব্যথা হয়। এছাড়া ভারী পণ্য বহন করা, একাধারে কুঁজো হয়ে বসে থাকা, এলোমেলো অঙ্গভঙ্গিতে ঘুমানো, বয়সজনিত কারণে, গর্ভাবস্থায় কোমরে ব্যথা হতে পারে।  


অনেকে কোমরে ব্যথা কমাতে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খান। কেউ কেউ ব্যায়াম করেন। ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।


গরম সেঁক :গরম সেঁক শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পেশি বা সন্ধিতে গরম সেঁক দেওয়া হলে সেখানকার রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়, ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে। এর ফলে আক্রান্ত মাংসপেশিতে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ বেড়ে যায়। সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল হয় বলে মাংসপেশিতে আরামবোধ হয়।


করণীয় : হিটিং ব্যাগে গরম জল ঢেলে বা সুতি কাপড় আয়রন করে সহনীয় তাপে কোমর ও পিঠে ছেঁক দিন। প্রতিদিন আধঘণ্টা এই সেঁক নিতে পারেন।


বরফ : বরফ থেরাপি মাংসপেশির জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পিঠ ও কোমর ব্যাথা থেকে আরাম পেতে বরফ থেরাপি দিতে পারেন।


করণীয় :  আইস ব্যাগ বা কতোগুলো বরফের টুকরো গামছা বা টাওয়ালে নিয়ে কোমরে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এটি প্রতিদিন ১-২ বার ব্যবহার করবেন।


ভিটামিন :  ভিটামিন বি১২ এ অ্যান্টি-ইনফ্লোমেটরি এবং ব্যথা প্রতিষেধক গুণাবলি রয়েছে। এটি পিঠে ও কোমরের ব্যথা কমাতে এবং এর লক্ষণগুলি দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি,ডি, ই , অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি রয়েছে যা কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে কোনো ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


গরম জল দিয়ে স্নান : স্নানে গরম জলের তাপ শরীরের সকল দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এটি শরীরের ব্যথা, জ্বালাপোড়া , কোমর ও পিঠের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।


আদা : আদায় থাকা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি কোমরের ব্যথা কমাতেও বেশ কার্যকর।


করণীয় : ১-২ ইঞ্চি আদা ১ কাপ গরম জলে ৫-১০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখুন। এর মধ্যে ১ চামচ মধু দিয়ে পান করুন।


ব্যথা কমাতে আদার তেল কোমর ও পিঠে লাগাতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.