যৌন রোগে অবহেলা নয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: যৌনবাহিত রোগের বিষয়ে মানুষের সচেতনতা কম। আবার লজ্জা-সংকোচের কারণে অনেকে চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। এ থেকে ভবিষ্যতে বন্ধ্যত্ব ও নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এমন কয়েকটি রোগ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


গনোরিয়া: বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি। চিকিৎসা না করালে পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রনালি বন্ধ এবং উপ-শুক্রাশয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে সন্তানের বাবা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রস্টেট গ্রন্থিতে প্রদাহ হতে পারে। এতে মূত্রনালিতে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন প্রস্রাব করতে সমস্যা, প্রস্রাব বাধাগ্রস্ত বা ব্যথা হয়।


এতে মূত্রনালি সংকীর্ণ হয়ে যেতে পারে। নারীর ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না হলে ডিম্বনালির ছিদ্র বন্ধ, বন্ধ্যত্বের সমস্যা ও মূত্রাশয়ে প্রদাহ হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রসবের সময় গর্ভের শিশুর চোখ আক্রান্ত হতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হাঁটু বা গোড়ালিতে পুঁজ জমে ফুলে যেতে পারে।

সিফিলিস: এ রোগে উপযুক্ত চিকিৎসা না নিলে দীর্ঘমেয়াদি সিফিলিসে পরিণত হতে পারে। এর থেকে স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের সিফিলিসের জটিলতাও দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশুর দেহে এ রোগের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শেনকরোয়েড: উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে এর থেকে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির কুঁচকির লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত হয়। যা একপর্যায়ে ফেটে গিয়ে নিঃসরণ ঘটতে পারে। দেখা দিতে পারে ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস। এতে পুরুষাঙ্গের ছিদ্র সরু হয়ে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়তে পারে।


জেনিটাল হারপিস: এটি ভাইরাসজনিত রোগ। একবার হলে কখনো ভালো হয় না। দেখা দেয়, আবার চলে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে আবার দেখা দেয়। মায়ের এ রোগ থাকলে প্রসবের সময় শিশু আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি শিশুর চোখও আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভপাত হতে পারে। মায়ের জরায়ুমুখে ক্যান্সারও হতে পারে।

কাজেই যৌনাঙ্গের ত্বকে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.