সৌদি কনে জর্ডানের যুবরাজ, মধ্যপ্রাচ্যের রাজকীয় বিয়ে!



ODD বাংলা ডেস্ক: জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফকে বিয়ে করেছেন। বৃহস্পতিবার ((১ জুন) জর্ডানের রাজধানী আম্মানের প্রাসাদে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। খবর সিএনএন-এর। 


২৯ বছর বয়সী রাজওয়ার পরিবার সৌদি আরবের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে একটি। সৌদি রাজপরিবারের সাথেও তাদের রয়েছে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।


রাজওয়ার মা বিখ্যাত আল-সুদাইরি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজও 'সুদাইরি সেভেন' এর মধ্যে একজন। সেই হিসেবে সৌদি প্রিন্স সালমানের সাথে পরিবারটির অনেকটা আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক রয়েছে। 


জর্ডানের ঐতিহাসিক রাজপ্রাসাদ জাহরান প্যালেসে আয়োজিত বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও রাজপরিবারের সদস্যরা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ প্রায় ১৪০ জন অতিথি এতে অংশগ্রহণ করেন।


বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স হুসেইন ও রাজওয়া আলসাইফ। ছবি: রয়্যাল হাশেমাইট কোর্ট/এপি

এদিকে রাজকীয় বিয়ের এ আয়োজন ঘিরে রাজধানী আম্মানে উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পথে পথে বর-কনেকে অভিনন্দন জানিয়ে পতাকা-ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। প্যালেসের বাইরে নতুন এ দম্পতিকে অভিনন্দন জানাতে হাজির হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ।


বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন। ২০০৯ সালে জর্ডানের রাজপরিবারের পরবর্তী উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে নির্বাচন করা হয়। তিনি  যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। 


সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর পর জর্ডানের বাদশাহ হবেন ২৮ বছর বয়সী যুবরাজ হুসেইন। সেই হিসেবে জর্ডানের পরবর্তী রানি হবেন নিউ ইয়র্কের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা রাজওয়া।


মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ জর্ডান কূটনৈতিকভাবে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরব ও জর্ডানের মধ্যকার সম্পর্ক গত কয়েক বছরের উত্তেজনার পর সম্প্রতি স্বাভাবিক হতে চলেছে।


গতবছর প্রিন্স সালমান জর্ডান সফরের সময় সৌদি গণমাধ্যমকে জানান, জর্ডানের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে তিনি উৎসাহী। আর তাই বর্তমানে জর্ডানের যুবরাজের সৌদি রাজপরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ এক পরিবারে বিয়ে করার বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.