‘টাইটান’ সাবমেরিনের এই পরিণতি আগেই টের পেয়েছিলেন ‘টাইটানিক’ পরিচালক



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিখ্যাত হলিউড চলচ্চিত্র ‘টাইটানিকের’ পরিচালক জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ‘টাইটান’ সাবমেরিনের নিখোঁজের তথ্য জানার পরই তিনি সাবমেরিনটির পরিণতি বুঝতে পেরেছিলেন।

১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়। উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। সিনেমা নির্মাণের জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ক্যামেরন ৩৩ বার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে গিয়েছিলেন।


‘টাইটানিকের’ ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে গত রোববার সাগরের তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে সাবমেরিন ‘টাইটান’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সাবমেরিনটির। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান। আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ‘টাইটানিক’ জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া যায় সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ।


জেমস ক্যামেরন জানান, গত রোববার টাইটান যখন নিখোঁজ হয়, তখন তিনি একটি জাহাজে ছিলেন। সোমবার পর্যন্ত তিনি টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।


হলিউডের এ পরিচালক জানান, যখন জানতে পারলেন, সাবমেরিনটি একই সময়ে তার নেভিগেশন ও যোগাযোগ উভয়ই হারিয়েছে, তখনই তিনি একটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছিলেন। ক্যামেরন বলেন, ‘কী ঘটেছে, তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।’ 


‘টাইটানিক’ সিনেমার পরিচালক বলেন, সাবমেরিনটির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এই তথ্য জেনে তৎক্ষণাৎ তিনি বুঝতে পেরেছেন, সাবমেরিনটি শেষ। কেননা, একটি চরম বিপর্যয়মূলক ঘটনা ছাড়া এগুলো একত্রে নিষ্ক্রিয় হতে পারে না।


ঘটনাটি জানার পর ক্যামেরনের মাথায় প্রথমেই যে বিষয়টি এসেছিল, তা হলো- বিস্ফোরণ।


মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে, টাইটান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পরই তারা একটি শব্দগত অসংগতি শনাক্ত করেন। এই শব্দ বিস্ফোরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.