গরমে কিশমিশের জল পানের উপকারিতা
ODD বাংলা ডেস্ক: গ্রীষ্মের খরতাপে সুস্থ থাকতে শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। গরমে একই ধরনের পানীয় পান করতে করতে একঘেয়েমি লাগলে কিশমিশের জল খেতে পারেন। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই পানীয়ের তুলনা নেই।
গরমে কিশমিশের জল পানের নানা উপকারিতার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও লেখক কবিতা দেবগন। যেমন-
দূষিত পদার্থ দূর করে: প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরে ধুলোবালি, ময়লা, দুঃশ্চিন্তা, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারের কারণে দূষিত পদার্থ জমা হয়। কিশমিশের জল শরীরকে দূষণমুক্তের কাজ করে। এটি শরীরে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে, ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে : আয়রনের অভাবে নারীদের প্রায়ই রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। কিশমিশে উচ্চ পরিমাণে আয়রণ রয়েছে যা রক্তকণিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। নিয়মিত কিশমিশের জল পান করলে আয়রনের স্তর ঠিক থাকে ও রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গরমকালে শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখা জরুরি কারণ ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বের হয়ে যায়।
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য : কিশমিশের মধ্যে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে যা শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জরুরি। ইলেক্ট্রোলাইট নিয়মিত স্নায়ু কার্যক্রম, মাংশপেশি সঙ্কোচন এবং হাইড্রেশন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। গরমকালে ঘামের কারণে ঝরে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট পুনরুদ্ধার করার জন্য কিশমিশের জল পান করুন।
শক্তি বৃদ্ধি করে : অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মানুষ দূর্বল ও ক্লান্তি অনুভব করে। কিশমিশ একটি প্রাকৃতিক শর্করাযুক্ত খাবার যা গ্লুকোজ ও ফ্রাক্টোজসহ শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
ওজন কমায় : আপনি কি ওজন কমানোর কথা ভাবছেন? তাহলে কিশমিশের জল আপনার জন্য খুবই উপকারী। কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় এই জল পানে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আসক্ততা কমায়। এভাবে কিশমিশের জল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য : সার্বিক সুস্থতার জন্য অস্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিশমিশের জলে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গরমে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়, কিশমিশের জল তা প্রতিরোধ করে। এই জল সার্বিকভাবে পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখে।
যেভাবে তৈরি করবেন কিশমিশের জল
প্রথমে একটি বাটিতে ১ কাপ কিশমিশের সাথে ৪ কাপ জল দিয়ে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা অথবা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর জলসহ কিশমিশ ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। এখন ছেঁকে নিন। ব্যস, এখন এই স্বাস্থ্যকর জল পান করার জন্য একদম তৈরি হয়ে গেল।
Post a Comment