আমপান্না ও লেবুর জল ছাড়াও দেশের শুষ্ক অঞ্চলে কেন এই শরবত এত জনপ্রিয়, জেনে নিন এর উপকারিতা
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রখর রোদ এবং এই লু থেকে মুক্তি পেতে গ্রীষ্মকালে আমাদের প্রায়ই ঠান্ডা কিছু পান করার ইচ্ছে হয়। কেউ ঠান্ডা জল পান করে আবার কেউ ঠান্ডা পানীয়ের আশ্রয় নেয়। জল পান উপকারী কিন্তু ঠান্ডা পানীয় শুধুমাত্র ক্ষতি করে। এমন পরিস্থিতিতে কেন? গ্রীষ্মকালে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু মজাদার এবং উপকারী পানীয় পান করবেন এমন নয় সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের মৌসুমে আপনি খাসের শরবত পান করতে পারেন। পোস্ত এক ধরনের সুগন্ধি ঘাস যা অনেক খাদ্যদ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। খস থেকে নির্যাস বের করে শরবত তৈরি করা হয়। খস এর একটি শীতল প্রভাব রয়েছে। এটি শরীরকে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে এবং ঠান্ডা রাখে এবং তৃষ্ণাও মেটায়। এ ছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বাংলার বাইরে শুষ্ক অঞ্চলে এই শরবত অত্যন্ত জনপ্রিয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক খস সম্পর্কে। যার শরবত পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
খসের শরবত পানের উপকারিতা
১) গ্রীষ্মের মৌসুমে জলশূন্যতার সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে খাসের শরবত পান করলে তা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এতে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসে।
২) আয়রন ম্যাগনেসিয়াম জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায়। যা রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে। এতে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ মেটাবলিজমের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৩) বিশেষভাবে শীতল প্রভাব পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে যা চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। অনেক সময় গ্রীষ্মকালে রোদে থাকার কারণে চোখ লাল হওয়ার সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এক গ্লাস বিশেষ সিরাপ এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪) বিশেষ সিরাপ পান করলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। কারণ এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনাকে ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট রোগ থেকে রক্ষা করে।
৫) বিশেষ এই শরবত পান করলে ত্বকের দাগ ও পিম্পলের সমস্যা কমে যায়। কারণ এটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ডিটক্সিফাই করে। তাই গরমের মৌসুমে খসের শরবত পান করাও ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে।
৬) খসের প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পোস্তে প্রচুর আয়রন থাকে যা রক্তে অক্সিজেনের প্রভাব বাড়ায়। এটি সমস্ত স্বাস্থ্যের উপর উপকারী।
Post a Comment