'হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি তারপর...!' ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ক্যানিং-এর দম্পতির
ODD বাংলা ডেস্ক: এই শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আর এতে বেশিরভাগ যাত্রীই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এই দুর্ঘটনায় বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুখালীর দুই বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের নাম শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও পারুল মোল্লা। সম্পর্কে তাঁরা শ্বশুর ও বৌমা। পারুলের স্বামী কর্মসূত্রে চেন্নাইতে থাকেন। সেই কারণেই তাঁরা গতকাল শালিমার থেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু করেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়তেই গুরুতর জখম হন তাঁরা। সেখান থেকে কোনওমতে উদ্ধার হওয়ার পর রাতেই তাঁরা রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। শনিবার সকালে তাঁদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের বেডে শুয়েই শোনালেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
পারুল মোল্লা বলেন, “আমার স্বামী দক্ষিন ভারতে কাজ করেন। সেই কারণেই আমি এবং আমার শ্বশুরমশাই এই ট্রেনে চেন্নাই যাচ্ছিলাম। বিকেলে ৬ টা বেজে ৪০ মিনিট তখন। হঠাৎ করে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। সবাই এদিক ওদিক ছিটকে পড়েন। আমিও ছিটকে পড়ি ও গায়ে খুব জোরে আঘাত লাগে।
পরে জানতে পারি যে আমাদের কামরায় যতদিন ছিলেন, চারজন বাদে সবাই মারা গিয়েছেন। আমি এবং আমার শ্বশুরমশাই ওই চারজনের মধ্যে রয়েছি”। তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ না উদ্ধার করা হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল বাঁচব না। বরাত জোরে বেঁচে ফিরেছি”।
Post a Comment