পরিবারে অশান্তি পিছু ছাড়ে না? এই ৬ উপায়ে বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব রয়েছে কী না, সে বিষয় জানা যেতে পারে। এর জন্য কিছু বিষয়ের ওপর নজর রাখতে হবে। যেমন- পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ অসু্স্থ হয়ে পড়লে ও ওষুধ ধীরগতিতে কাজ করলে, বুঝতে হবে যে সেই পরিবারে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব রয়েছে। আবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ, সন্তানের মধ্যে ঝগড়াও নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতির দিকে ইশারা করে।


বাস্তু শাস্ত্রে দিকের বিশেষ গুরুত্ব স্বীকৃত। সাধারণত উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম দিকের উল্লেখ পাই আমরা। এ ছাড়াও আর ৪টি দিক রয়েছে। আকাশ ও পাতালকেও দুটি দিক মনে করা হয়। অতএব মোট ১০ দিক রয়েছে।


বা্স্তু শাস্ত্র মতে এই দিকগুলির ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এগুলির মধ্যে কোনও একটি দিকে বাস্তু দোষ উৎপন্ন হলে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি হয়। কোন দিক দোষযুক্ত হলে কোন কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে নিন-


পূর্ব দিক


বাস্তু বিজ্ঞানে একে সর্বাধিক ইতিবাচক দিক মনে করা হয়। সূর্যোদয়ের দিক হওয়ায় এর অধিপতি ইন্দ্র। সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এই দিকে বাড়ি তৈরি করে থাকলে তা দোষ মুক্ত হওয়া উচিত। পূর্ব দিক খোলামেলা ও আলোযুক্ত হওয়া শ্রেয়।


আগ্নেয় দিক


অগ্নি এই দিকের অধিপতি। পূর্ব-দক্ষিণ অর্থাৎ আগ্নেয় কোণকে রান্নাঘর নির্মাণের জন্য শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। এই দিকে বাস্তু দোষ থাকলে অর্থাভাব, মানসিক সমস্যা ও অবসাদ পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশ দেখা যায়। এই দিক শুভ হলে বাড়িতে শক্তি ও ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকে।


দক্ষিণ দিক


বাড়ির মালিকের শয়নকক্ষ এই দিকে হওয়া উচিত। যম এই দিকের অধিপতি। সমৃদ্ধি ও রোজগারের প্রতীক এই দিক খালি থাকা উচিত নয়। দক্ষিণ দিকে দোষ থাকলে মান-সম্মান, রোজগার, অস্থিরতা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়।


নৈঋত্য কোণ


বাড়ি তৈরির সময় দক্ষিণ-পশ্চিম অর্থাৎ নৈঋত্য দিককে ভারী রাখা উচিত। এই দিকে বাস্তুদোষ থাকলে দুর্ঘটনা, রোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।


ঈশান দিক


মহাদেব এই দিকের অধিপতি। এই দিকে জল স্থান থাকা শ্রেষ্ঠ। ঈশান দিকে ভুলেও শৌচালয় নির্মাণ করাবেন না। এর ফলে সৃষ্ট নেতিবাচক শক্তি অশুভ প্রভাব বিস্তার করতে পারে।


এই অশুভ শক্তি দূর করে পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বিস্তারের জন্য নানান উপায়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। কী করবেন, জেনে নিন—


১. ঘর মোছার সময় জলে নুন মিশিয়ে নিন। নেতিবাচক শক্তি শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নুনের মধ্যে। জীবাণু নষ্ট করে ও স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো।


২. বাড়িতে লোবান, ঘি, কর্পূর, চন্দন ও গুগল মিশিয়ে তার ধুঁয়ো দিন। এর ফলে বাড়ির জীবাণু নষ্ট হয় ও ইতিবাচক সুগন্ধী পরিবেশের সৃষ্টি হয়।


৩. বাড়িতে কোনও ভয়ের পরিবেশ থাকলে, পরিষ্কার জলে লবঙ্গ ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সারা ঘরে ছেটান। এই উপায় নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হবে ও ভয় দূর হবে।


৪. গাওয়া ঘিয়ে হলুদ ও সিঁদূর মিশিয়ে বাড়ির প্রবেশদ্বারে পাঁচ বার তিলক করুন। এর পাশাপাশি তামার পাত্রে জল নিয়ে প্রবেশদ্বারে ছেটান। এর প্রভাবে বাড়ির চারপাশে ব্যপ্ত নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হবে ও ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাবে।


৫. বিছানায় বসে খাবার খাবেন না ও রাতে রান্নাঘরে এঁটো বাসন ফেলে রাখবেন না।


৬. বাড়ির কোনও একটি স্থানে কাঁচের গ্লাসে জল ভরে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিন। প্রতি শনিবার এর জল পাল্টাতে থাকুন। এর প্রভাবে পরিবারে শুভ শক্তির আগমন ঘটবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.