নুনের এই টোটকায় বাড়ি থেকে দূর হবে অশুভ শক্তি, ঘরে আসবে লক্ষ্মী

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পরিবারের নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য বাস্তু শাস্ত্রে নানান উপায় সম্পর্কে জানানো রয়েছে। লবণ ও সন্ধ্যৈব লবণের বিভিন্ন নেতিবাচক শক্তি দূর করে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখে। পাশাপাশি জীবনে আগত সমস্ত বাধা দূর হয়। বাস্তু শাস্ত্রে নুন বা লবণের কিছু উপায় একাধিক বাস্তু সমস্যা দূর করতে পারে। লবণের এই উপায়ে পরিবারে লক্ষ্মী আগমনের পথ প্রশস্ত করে। পরিবারের সদস্যরা জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে এবং সুখ-শান্তিতে জীবন ভরে যায়। লবণের কোন বাস্তু উপায়ে এ সব লক্ষ্যপূরণ সম্ভব জেনে নিন।


নুনের টোটকায় সম্ভব লক্ষ্মীর আগমন


কাঁচের পাত্রে ৪-৫টি লবঙ্গের সঙ্গে স্বল্প নুন মিশিয়ে বাড়ির কোণায় রেখে দিন। এমন স্থানে রাখবেন, যেখানে কারও দৃষ্টি না-পৌঁছয়। এর ফলে পরিবারে লক্ষ্মী আগমনের পথ প্রশস্ত হয় এবং আর্থিক সংকট দূর হবে। পরিবারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা যায়। এমনকি পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।


নুনের উপায় দূর করবে বাস্তু দোষ


বাথরুমে ক্রিস্টাল নুন রাখুন। এমন জায়গায় এই নুন রাখবেন, যেখানে কারও হাত না-পৌঁছতে পারে। পাত্রে রাখা এই ক্রিস্টল নুন কিছু দিন অন্তর অন্তর পাল্টাতে থাকুন। এর ফলে বাথরুমের বাস্তু দোষ দূর হবে।

নুনের টোটকায় দূর হবে অশুভ শক্তি


স্নানের জলে এক চামচ সন্ধ্যৈব লবণ মিশিয়ে নিন। কমপক্ষে ২১ দিন লাগাতার নুন মেশানো জলে স্নান করুন। তার পর সপ্তাহে দুবার এ ভাবে স্নান করবেন। নুন জলে স্নান করলে ব্যক্তির শরীরে থাকা সমস্ত নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়।


নুনের উপায় দূর করবে ঘরের নেতিবাচক শক্তি


বাড়ির এক কোণে সন্ধ্যৈব লবণ ভরতি পাত্র রেখে দিন। ১০-১২ ঘণ্টা এই পাত্রটি রাখার পর তা সরিয়ে দেবেন। এই নুন বাড়িতে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তিকে শুষে নেবে। তার পর এই নুনটি ফেলে দিন। বহু দিন এই ব্যবহৃত নুনের পাত্র বাড়িতে রাখলে নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।


পরিবারের নেতিবাচক শক্তি দূর করার আর একটি উপায় রয়েছে। এক বালতি জলে সন্ধ্যৈব লবণ মিশিয়ে ঘর মুছুন। শেষে এই জল বাইরে ফেলে দেবেন। সপ্তাহে কমপক্ষে এক বার এই উপায় করতে পারেন।


আবার সন্ধ্যৈব লবণের প্রদীব বা আলো জ্বালালেও সুফল পেতে পারেন। এর ফলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। তবে সন্ধ্যৈব লবণের ল্যাম্প বা আলোটিকি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এই উপায়ে আর্থিক অনটন দূর হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.