ফের মেট্রোয় প্রকাশ্যে চুম্বন! এবার নীতিপুলিশ নয়,'আরও চুমু খাওয়া'র আর্জি নেটিজেনদের
ODD বাংলা ডেস্ক: কখনও কোনও যাত্রী অন্তর্বাস পরে উঠে পড়ছেন মেট্রোয়। আবার কখনও মেট্রোতেই হস্তমৈথুন থেকে 'ওরাল সেক্স'ও। দিল্লি মেট্রো নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই। এবার তালিকায় জুড়ল মেট্রোর সিটে বসে এক যুগলের চুম্বনের ঘটনা। তবে আর নীতি পুলিশ নয়, বরং যাত্রীদের প্রকাশ্য চু্ম্বনের দৃশ্যে অভ্যস্ত হওয়া উচিত বলেই মত নেটিজেনদের।
বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক ঘটনায় শিরোনামে এসেছে দিল্লি মেট্রো। নেটদুনিয়ায় চর্চা চলেছে তুমুল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে নেটপাড়া। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পদক্ষেপও নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এবার ফের একবার ভাইরাল দুনিয়ার শিরোনামে উঠে এল মেট্রোতে এক যুগলের চুম্বন। তবে সে তো রোজনামচা, সেই ঘটনা যে এবার নেটিজেনদের কাছে বড়ই 'স্বাভাবিক'।
টুইটারে শেয়ার হওয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত 17 জুন দিল্লি মেট্রোতে ঘটনাটি ঘটেছে। হুদা সিটি সেন্টারের দিকে যাওয়ার সময়ে এক যুগলের মেট্রোতে বসে চুম্বনের দৃশ্য ধরা পড়েছে। ছবিতে ওই যুগলের মুখ দেখা যায়নি। তবে তাঁরা যে অবস্থানে বসেছিলেন, তা থেকে খুব সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায় যে চুম্বনরত অবস্থায় ছিলেন ওই যুগল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি তাঁর দুই পা তুলে দিয়েছেন ছেলেটির দিকে, দুজনে জড়িয়ে ধরেছেন একে অপরকে। মুখ দেখা না গেলেও তাঁরা যে চুম্বনরত ছিলেন তা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পোস্টটিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দিল্লি পুলিশ এবং দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করা হয়েছে। ঘটনাটি নজরে আসতেই দু:খপ্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দিল্লি মেট্রোতে এক যুগলকে মাটি বসে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন সকলে। কিন্তু এবার যেন চেনা ছবির বদল ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা যেখানে নেটিজ়েনদের নীতিপুলিশির নিশানায় থাকে, এবারে কিন্তু তার অন্যথা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই ঘটনাটির পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছে।
পোস্টটির প্রেক্ষিতে এক নেটিজেন লিখেছেন, ' একজন পুরুষ যখন মহিলাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, তখন দিল্লির মানুষজন পাশ দিয়ে চলে গেলেও কোনও প্রতিবাদ করবে না। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা নজরে এলে তাঁদের আঁতে ঘা লাগে!' এমনকী 'ভালবাসার জয় হোক।' বলেও স্লোগান তোলেন অনেকে।
Post a Comment