অম্বুবাচী চলাকালীন কোন কোন নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলা উচিত

ODD বাংলা ডেস্ক: অম্বুবাচীর সময়ে অসমের গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরে দেবী দর্শন থাকে নিষিদ্ধ। এটি দেবীর ৫১ সতীপীঠের অন্যতম। কালিকা পুরাণ বলে, এখানে সতীর যোনির অংশ পড়েছিল। আষাঢ় মাসের এই বিশেষ কয়েকটি দিন ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। যার অর্থ ধরিত্রী মাতার উর্বরাকাল। এই সময় মায়ের মন্দিরে মায়ের মুখ ঢেকে ফেলা হয়। এবছর করোনার কারণে অম্বুবাচী মেলার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। তবে অম্বুবাচীর এই কয়েকটা দিন সকলেরই উচিত কিছু নিয়ম মেনে চলা। 

১)  অম্বুবাচীর সময়ে ধরিত্রী মাতা ঋতুমতী হন তাই এই সময়ে ভূমিকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ করা নিষিদ্ধ।

২) অম্বুবাচীর ক'টা দিনে গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ও অন্যান্য মাঙ্গলিক কাজ করা উচিত নয়।

৩) হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, এই সময়ে রথযাত্রার উৎসব পড়লে, তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই করা যেতে পারে। কারণ রথযাত্রাকে নিত্যকর্ম হিসাবেই ধরা হয়, কিন্তু এই সময়ে অন্য কোনও বিশেষ পুজোর আয়োজন না করাই ভাল। 

৪)  অম্বুবাচীর দিনগুলিতে পুজোর সময়ে কোনও মন্ত্র পাঠ করবেন না, কেবল ধূপ ও প্রদীপ জ্বেলে ঠাকুর প্রণাম করবেন।

৫)  অম্বুবাচীতে দেবীর মূর্তি বা পট কখনওই স্পর্শ করা উচিত নয় বলে মনে করে হিন্দু শাস্ত্র। পাশাপাশি যাঁরা আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ পুজো করেন, যেমন মা কালী, দেবী দুর্গা, দেবী জগদ্ধাত্রী, মা বিপত্তারিণী,মা শীতলা, দেবী চণ্ডীর মূর্তি বা পট পূজা করেন, তাঁরা এই সময়ে মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। 

৬)  অম্বুবাচীতে গুরুর পুজা চলতে পারে। কারওর গুরু যদি নারী হন, অর্থাৎ গুরুমা হন, তাহলেও পূজা চলতে পারেন, তাতে কোনও দোষ নেই বলে মনে করে হিন্দুশাস্ত্র। 

৭) যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা এইসময়ে গুরুমন্ত্র জপ করতে পারবেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে জপে কোনও দোষ নেই বলে মনে করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.