পুরুষের এই ৪ কাজ বিষিয়ে দেয় প্রেমিকার মন, ব্রেকআপ করার আগে তাঁরা ১ বারও ভাবেন না
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রত্যেকেরই তাঁর সঙ্গীর ভালোবাসার মানুষের থেকে সামান্য প্রত্যাশা থাকে। সেই কথা কখনও প্রকাশ করেন আবার কখনও মনের গভীরেই তা থেকে যায়। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এই ছোট ছোট প্রত্যাশাও না পূরণ হয় এবং সঙ্গীর থেকে বারবার মানসিক আঘাত আসতে শুরু করে, তবে সেই সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
পুরুষদের ক্ষেত্রেও যেমন বিষয়টি প্রযোজ্য, মহিলাদের ক্ষেত্রেও তাই। ঠিক এই কারণেই অনেক সম্পর্ক অসময়ে ভেঙে যায়। অনেক মহিলাই তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেক আপ করেন। এই প্রবন্ধে এমন ৪ বিষয়ের উল্লেখ করা হল, যেগুলি মহিলাদের খুবই অপছন্দ। প্রেমিকের এই ৪ কাজই তাঁদের কষ্ট দেয়।
অসম্মান
মহিলারা তাঁর প্রেমিকের থেকে সম্মান আশা করেন। আপনার প্রেমিকাও চান যে, আপনি তাঁর প্রতিটি কথায় গুরুত্ব দেবেন। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে একবার আলোচনা করবেন। তাঁর মতামতকে সম্মান করবেন। কিন্তু আপনি যদি কথায় কথায় তাঁকে অসম্মান করেন এবং আপনার জীবনে তাঁর কোনও গুরুত্বই না থাকে, তবে একদিন না একদিন তো এই সম্পর্কে চিড় ধরবেই। তাই এখন থেকেই নিজের এই ভুল শুধরে নেওয়া ভালো।
ব্যস্ত থাকার অজুহাত
মহিলারা বারবার এই অভিযোগ করেন যে, পুরুষেরা সম্পর্ক শুরু করার আগে একরকম থাকেন কিন্তু তারপরেই তাঁদের ব্যক্তিত্ব যেন সম্পূর্ণ রূপেই বদলে যায়!
আপনিও কি এই কাজটিই করেন? মানে আপনার প্রেমিকা আপনার থেকে সামান্য সময় চাইলেও আপনি তাঁকে কোনওভাবেই সময় দিতে পারেন না। তিনি একবার দেখা করতে চাইলে তাঁকে ‘ব্যস্ত থাকার অজুহাত’ দেন। কারণ, আপনি মনে করেন, আপনার প্রেমিকাকে আর নতুন করে দেওয়ার মতো কিছু নেই। কোনও এফর্ট ছাড়াই বুঝি সম্পর্কটি ঠিক থাকবে!
এই ধারণা আজই মাথা থেকে বের করে দিন এবং সঠিক রাস্তায় ফিরুন। নাহলে কিন্তু এই সম্পর্ক ভাঙতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা
এই বিষয়টি মহিলাদের খুবই অপছন্দ। তিনি কখনও পছন্দ করেন না যে, তাঁর জীবন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন প্রেমিক। তাই আপনিও যদি এই কাজটি করে থাকেন, তবে আজই এই ভুল শুধরে নিন।
কখনও আপনার প্রেমিকার জীবন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। আপনি তাঁকে জীবন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। ঠিক ভুল বুঝিয়ে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার কোনও মতামত তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
দুর্ব্যবহার করা
ঝগড়া-মতের অমিল সব সম্পর্কেই হয়। কিন্তু তাই বলে সঙ্গীকে কি আপনি যাচ্ছেতাই করে কথা শোনাবেন? আপনার সঙ্গীই বা কতদিন এটি মেনে নেবেন, তা কি ভেবে দেখেছেন? ঝগড়া হলেই আপনার প্রেমিকাকে চারটে খারাপ কথা শোনাবেন না। বরং, আপনার মত তাঁকে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। আপনার দুর্ব্যবহার কিন্তু তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব আপনারই। সম্পর্ক বাঁচাতে চাইলে নিজের এই ভুল আজই শুধরে নিন।
Post a Comment