এই ৪ কাজই স্বামী-স্ত্রীকে আজীবন বেঁধে রাখে এক সুতোয়, বয়স বাড়লেও দাম্পত্যে উষ্ণতার অভাব হয় না



 ODD বাংলা ডেস্ক: বয়োজেষ্ঠ্য দম্পতিদের একাংশ মনে করে, বর্তমান প্রজন্মের যুগলরা নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জানেন না, আর সেই কারণেই বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা! এই কথার ভিত্তি কতটা মজবুত তা আমরা জানি না, তাই এই বিষয়ে কোনও মতামত না পোষণ করাই ভালো। মনোবিদরাই সঠিক কারণটি বলতে পারবেন। তবে এই কথা সত্যি যে, বর্তমান প্রজন্মের অনেক দম্পতির কাছেই ‘সম্পর্কের প্রকৃত অর্থ’ অস্পষ্ট! তাঁরা জানেন না, কোন নিয়মে সঙ্গীকে সারাজীবন আগলে রাখা যায়। ঠিক কোন কাজগুলি করলে দাম্পত্যে কখনও একঘেয়েমি আসে না! তাই সঙ্গীকে খুশি করার নানা উপায় তাঁরা ইন্টারনেটে সার্চ করতে থাকেন।

সুখী দাম্পত্যের আসল রহস্য তবে কী? কী ভাবেই বা সঙ্গীকে সারা জীবন আগলে রাখা যায়, আজ বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে। দুষ্টু-মিষ্টি সম্পর্কটি আজীবন এভাবেই রাখতে ঝটপট পড়ে ফেলুন। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য -istock)


সঙ্গীর মতামতকে সম্মান করুন 

দাম্পত্যের ভিত মজবুত করার অন্যতম শর্তই এটি। সম্পর্কে সুখ এবং শান্তি বজায় রাখার জন্যে দুজনেরই দুজনের মতামতকে শুনতে হবে ও গুরুত্ব দিতে হবে।


সংসারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিন। ব্যক্তিগত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়েও সঙ্গীকে একবার জানিয়ে রাখা ভালো। দুজনেই যদি একে অপরের মতামতকে সম্মান করেন, তবে সম্পর্কের পথ আরও মসৃণ হবে।


সময় দিন

​সম্পর্কের মিষ্টত্ব জিইয়ে রাখার জন্যে একে অপরকে যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই কথা ঠিক যে, এই ব্যস্ত জীবনে সামান্য সময় বের করাও খুব কঠিন। তবে কি জানেন, আপনি চাইলেই অন্তত ৩০ মিনিট সময় বের করতে পারবেন।


এই ৩০ মিনিটে মোবাইল ফোনগুলি দূরে সরিয়ে রাখুন। সন্ধ্যার এক কাপ চা মুখোমুখি বসে উপভোগ করুন। সারাদিন কেমন কাটল, সেই নিয়ে আলোচনা করুন। সঙ্গীর বিষয়ে দুই একটি পজিটিভ কথা বলুন। সারাদিনের এই ৩০ মিনিট আপনাদের সম্পর্কে অক্সিজেনের মতো কাজ করবে।


প্রয়োজন ‘এক্সপেরিমেন্ট’

দাম্পত্যে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে একঘেয়েমি কাটানো প্রয়োজন। সারা দিনের বিভিন্ন কাজে যেমন এক্সপেরিমেন্ট প্রয়োজন, শারীরিক ঘনিষ্ঠতাতেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপেরিমেন্ট।


সম্পর্কে উষ্ণতা জিইয়ে রাখার জন্যে বেডরুমে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করতে থাকুন। আপনার সঙ্গী আপনাকে ছেড়ে যেতে পারবেন না। মনে রাখবেন, সম্পর্ক মজবুত করতে মানসিক টানও যেমন থাকা জরুরি, শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।


বন্ধুত্ব যেন না হারায়

বিয়ের পরে জীবন অনেকটাই বদলে যায়। যে মানুষটির সঙ্গে আগে দিনে বা সপ্তাহে একবার দেখা হত, এখন তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা একই ছাদের তলায় থাকতে হয়। একে অপরের সব পদক্ষেপই বেশ পরিচিত হয়ে ওঠে। সংসারের কাজের চাপে নিজেদের বন্ধুত্বই হারিয়ে যায়। সম্পর্কের আসল অর্থ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। তখনই সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে খুব সতর্ক হন। সঙ্গীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকুন। আপনাদের নির্ভেজাল আড্ডাতেই বেঁচে থাকবে দাম্পত্যের সুখও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.