আপনার উপর রেগে বোম হয়ে রয়েছেন অর্ধাঙ্গীনি? এই ৫ কৌশলে পরিস্থিতি সামালে নিন এখনই

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্ত্রী রণংদেহী মেজাজ ধারণ করলে যে স্বামীর কী অবস্থা হয়, তাঁর সাক্ষী থেকেছেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবও। আর আপনি তো সাধারণ মানুষ মাত্র! তাই স্ত্রীর চণ্ডি মূর্তির সামনে পড়লে যে আপনার হাঁটু কেঁপে উঠবে, এই বিষয়টা সহজেই অনুমেয়।


বউকে ভয় পেলে কোনও ক্ষতি নেই। তাতে বরং স্বামীদের স্বাস্থ্য় ফেরে। কিন্তু সমস্য়াটা হল, কিছু মহিলার মেজাজ সবসময়ই থাকে সপ্তমে। তাঁরা ছোটখাট বিষয়েও রেগেমেগে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে দেন। এই সময় তাঁদের চোখের সামনে যেতেও ভয় লাগে। কারণ স্বামীরাও বিলক্ষণ জানেন যে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে গেলে তাঁর রাগের তেজষ্কিয়তায় ভষ্ম হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই অর্ধাঙ্গীনি থেকে দূরে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, এই নীতির গোড়াতেই রয়েছে গলত। এই পদ্ধতিতে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয় ঠিকই, কিন্তু এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয় কি?


সুতরাং এই সমস্যাকে একদম গোড়া থেকে উৎপাটন করা জরুরি। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে আমাদের এই ৪ পরামর্শ। আশা করছি, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই ৪ কৌশলে ঘুঁটি সাজালে স্ত্রীর রাগের আগুনে ঠিক জল ঢেলে দিতে পারবেন।


​১. পালিয়ে বেড়ালেই চিত্তির​

স্ত্রীর রাগের ভয়ে ভয়ে জুজু হয়ে থাকা পুরুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই স্ত্রী চিৎকার শুরু করা মাত্রই তাঁরা সেই জায়গা ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন। তবে এই সময়ে পালিয়ে গেলে আখেরে সমস্যা আরও বাড়বে কিন্তু। কারণ যুদ্ধের মাঝে ময়দান ছাড়লে স্ত্রীর মেজাজ আরও চড়বে। এমনকী এই কারণে স্ত্রী মনে মনে রাগ পুষে রাখতে পারেন।। তারপর আবার সময় সুযোগ পেলেই ফের চিৎকার শুরু করে দিতে পারেন তিনি। তাই পালিয়ে যাওয়ার মতো ভুল কাজটা ভুলেও করবেন না বন্ধু!। বরং স্ত্রী রেগেমেগে চিৎকার করলেও তাঁর সামনেই বসে থাকুন! তাঁর ভিতরের সমস্ত জ্বালা বের করে নিতে দিন। এতেই দেখবেন তাঁর রাগের কলসি ফাঁকা হয়ে যাবে। তারপরই সংসারে ফিরবে শান্তি!


​২. কথা ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে​

​স্ত্রী খুব রেগে রয়েছেন। তাঁর কথায় ও ব্যবহারে স্পষ্ট সেই ভাষা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে চাইলে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব কথার প্রসঙ্গ ঘোরাতে হবে। এক্ষেত্রে স্ত্রী যেই ধরনের কথা বলছেন, ঠিক তাঁর উল্টো কথা বলতে হবে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন আপনার কোনও ভুল নিয়ে স্ত্রী রেগেমেগে একশা হয়ে গিয়েছেন। চিল চিৎকার করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি কোনও ক্রমে বেড়াতে যাওয়ার কথাটা খেলিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই দেখবেন কিছুক্ষণের ভিতরেই ঠান্ডা হয়েছে পরিস্থিতি। তবে মনে রাখবেন, এই কাজটা করতে হবে অত্যন্ত চালাকির সঙ্গে। এমনভাবে কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে ফেলতে হবে যাতে স্ত্রীর মনও সেই দিকে চলে যায়। এতেই দেখবেন উপকার মিলবে।


​৩. ক্ষমা চেয়ে নিতে দোষ কী!​

অনেক সময় পুরুষেরা এমন কিছু ভুল করে ফেলেন যার জন্য স্ত্রীরা রাগে ডগমগ করেন।। তরপর যা হওয়ার তাই হয়! নানা অজুহাতে স্ত্রী রেগেমেগে চড়াও হন স্বামীর উপরে।


এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আপনি যে মন প্রাণ দিয়ে বিষয়টার জন্য দুঃখিত, তা প্রকাশ করা দরকার। এই কাজটা করতে পারলেই সুফল মিলবে হাতেনাতে।


​৪. বুঝিয়ে বললেই খেলা ঘুরবে​

স্ত্রী প্রচণ্ড রেগে থাকলে সেই সময় চুপ করে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে ছোটখাট বিষয়ে রাগ করা উচিত নয়। এর ফলে যে আপনাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, এটাও তার মাথায় ঢুকিয়ে দিন। আপনি এই বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারলেই খেলা ঘুরে যাবে। তিনি হয়তো সবটা বোঝার পর নিজের ব্যবহারে বদল আনবেন।


কিছুক্ষেত্রে এমন সমস্যার পিছনে থাকে এডিএইচডি-এর মতো জটিল অসুখ। এই অসুখে আক্রান্তরা ছোটখাট বিষয়ে রেগে যান। এমনকী তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে দেন। তাই কোনও উপায়েই স্ত্রীর রাগকে কন্ট্রোল করতে না পারলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.