অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট গ্রহণের আগে যা জানবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট হলো এক ধরনের ওষুধ, যা সাধারণত বিষণ্নতা ও অবসাদ নিরাময়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এগুলো অন্যান্য মুড ডিস-অর্ডার, অ্যাংজাইটি ডিস-অর্ডার এবং অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস-অর্ডারে (ওসিডি) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কেন গ্রহণ করা হয়?
মাঝারি থেকে তীব্র বিষণ্নতা রোগে, বিভিন্ন মেজাজ ব্যাধি, এবং উদ্বেগজনিত ব্যাধি, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস-অর্ডার, প্যানিক ডিস-অর্ডার, ভীতিরোগ, বুলিমিয়া, পিটিএসডি, বাইপোলার ডিপ্রেসন, এটিপিক্যাল ডিপ্রেসন, সিজনাল এফেকটিভ ডিস-অর্ডার, ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, প্রি-মেনস্টুয়াল সিনড্রোম, প্রি-মেনস্টুয়াল ডিসফোরিক ডিস-অর্ডার, অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা, মাইগ্রেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, ছোটদের ক্ষেত্রে এনিউরেসিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
রোগীকে যা যা জানতে হবে
* শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করা যাবে না।
নিজেকেও কিছু বিষয় চর্চা করতে হবে।
* একই ওষুধ কার্যকারিতার ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখাতে পারে অর্থাৎ সবার ক্ষেত্রে যেটা কার্যকর সেটা আপনার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে।
* ওষুধগুলো প্রতিদিন খেতে হবে।
* এই ওষুধগুলো খুব ধীরে ধীরে কাজ করে, তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
* দুই-এক দিনের মধ্যেই নাটকীয় পরিবর্তন হবে না।
* রেগুলার ফলোআপে থাকাটা ভীষণ জরুরি।
* হঠাৎ করে নিজে নিজে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।
* ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধের পাশাপাশি সাইকোথেরাপি চালিয়ে যেতে হবে।
* মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না।
* অন্য যেকোনো শারীরিক রোগের জন্য কোনো ওষুধ খেলে তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জানাতে হবে।
চিকিৎসককে যা যা জানতে হবে
* রোগী গর্ভবতী কি না অথবা স্তন্যদানকারী মা কি না।
* এমন কোনো ওষুধ রোগী খাচ্ছে কি না—যেটা অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্টের সঙ্গে খেলে কোনো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
* রোগীর বয়স।
* মাদকাসক্ত কি না।
* রোগীর বাইপোলার ডিস-অর্ডার আছে কি না।
* পেশা জেনে নিতে হবে। যারা ড্রাইভিং করে অথবা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মেশিনের কারখানায় কাজ করে, তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের প্রভাব নেই এমন ওষুধ দিতে হবে।
* এ ছাড়া, কোনো ব্লিডিং ডিস-অর্ডার, ডায়াবেটিস, গ্লুকোমা মৃগী রোগ, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা, প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা আছে কি না, তা জেনে নিতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণ করলে কী কী সমস্যা হয়?
সব মেডিসিনের মতো অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টেরও দীর্ঘমেয়াদি গ্রহণে ওজন বৃদ্ধি করে। যৌন সমস্যা, নিজেকে আসক্ত মনে হওয়া, পিপাসা লাগতে পারে, আবেগগুলো ম্লান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ মোতাবেক গ্রহণ করলে এবং নিয়মিত ফলোআপে থাকলে এসব সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম।
Post a Comment