ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দেওয়ার আগে সাবধান! কৃত্রিম মিষ্টি ক্যান্সারের এজেন্ট বলছে WHO-র গবেষণা রিপোর্ট
ODD বাংলা ডেস্ক: নিশ্চিন্তে নরম পানীয় খাবার দিন বোধ হয় এবার শেষ হয় এল। কারণ খুব তাড়াতাড়ি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যাসপার্টেমকে ক্যান্সারর মূল এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। অ্যাসপার্টেম হল একজাতীয় কৃত্রিম মিষ্টি যা মূলত নরম পানীয় ও খাবার ব্যবহার করা হয়। অ্যাসপার্টেম কৃত্রিম মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি মিষ্টি পদার্থ, প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। এটি অ্যাসপাটিক অ্যাসিড ও ফেনিল্যালানিনের মিশ্রণ। ক্যান্সারের জন্য মূলত অ্যাসপার্টেমকেই দায়ী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার গবেষণা। ইন্টারন্যাশানাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা IARCএর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কোকা-কোলা, ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্স এক্সট্রা চুইংগাম মানুষের জন্য সম্ভবত কার্সিনোজেনিক হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাসপার্টেকে তালিকাভুক্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
IARCর প্রতিবেদন বলা হয়েছে এই মাসের শুরুর দিকে রায়টি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। অ্যাসপার্টামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সমস্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খাদ্য সংযোজন সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। IARC এর দাবি ১৩০০টি গবেষণাপত্র মূল্যায়ণের পরই অ্যাসপার্টামেকে ক্যান্সেরের এজেন্ট হিসেবে দায়ী করা হয়েছে।
IARC এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফলাফলগুলি জুলাই পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। যাইহোক রিপোর্টগুলিতে কার্সিনোজেনিসিটি বোঝার প্রথম মৌলিক পদক্ষেপ। যদিও IARC ২০১৫ সাল থেকেই অ্যাসপার্টাম নিয়ে বিপদ সংকেত দিচ্ছিল। খাদ্য নির্মাতা ও পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির ওপর চাপ তৈরি করছিল। কিন্তু তাতে তেমন কোনও লাভ হয়নি।
অন্যদিকে বিশ্বের একাধিক খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা ও ফ্রাব্সের হান্ট উড ইন্টারন্যাশানাল সুইটানার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে IARC কোনও খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা নয়। তাই তাদের রায় মানার কোনও বাধ্যবাধতা নেই। অন্যদিকে অ্যাসপার্টামের পর্যালোচনা বৈজ্ঞানিভাবে করা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরেই খাদ্য ও পানীয় নির্মাতা সংস্থাগুলি অ্য়াসপার্টমের ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি ফ্রান্সে ১ লক্ষ প্রাক্ত বয়স্ক ও শিশুদের ওপর গবেষণা করে দেখা দিয়েছে যারা বেশি পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি খায় তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
অন্যদিকে IARCর সূত্রে খবর অ্যাসপার্টেমকে সম্ভাব্য কার্সিনোডেন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা আরও গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে। কৃত্রিম মিষ্টি নিয়ে আরও বিকর্তের জন্ম দেবে। গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্রাহকদের ওডন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নন-সুগার মিষ্টি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল।
Post a Comment