ঠাকুরঘরে এই একটি ভুল করলেই লক্ষ্মীর রোষে কাঙাল হতে পারেন আপনি!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পারিবারিক সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে যেমন কিছু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, তেমনই এমন কিছু জিনিস আছে, যা রাখা উচিত নয় বলে বাস্তু শাস্ত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে শুধু বাড়ির শয়নকক্ষ বা বৈঠকখানাই নয়। বাস্তু অনুযায়ী অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত বাড়ির ঠাকুরঘরকে। ঠাকুরঘরে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস না-রাখার পরামর্শ দেয় বাস্তু শাস্ত্র। আবার যা যা থাকে, তা রাখার সঠিক পদ্ধতি জানাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তা না-হলে হীতে বিপরীত হতে পারে। ঠাকুরঘরে পুজোর সামগ্রী, বাসন ইত্যাদি থাকে। এই বাসনের মধ্যে অন্যতম হল জল পাত্র। শুদ্ধি, পঞ্চামৃত, জল নিবেদন করার জন্য জলপাত্র থাকে। বাস্তু শাস্ত্র এই জলপাত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু নিয়মের উল্লেখ করেছে। যা অবশ্য পালন করা উচিত।


ঠাকুরঘরে কী ভাবে জলপাত্র রাখবেন এবং এর দ্বারা কী কী সুফল পাওয়া যায়, তা বিস্তারিত জানানো হল এখানে।


১. বাস্তু অনুযায়ী পুজোর পর জলপাত্র কখনও খালি রাখতে নেই। এতে গঙ্গাজল, স্বচ্ছ জল বা অন্তত পক্ষে একটি তুলসী পাতা রেখে দিন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ঠাকুর-দেবতারা তৃষ্ণার্ত হলে এই জল পাত্র থেকেই জল পান করে তৃপ্ত হন।


২. দেব-দেবী জলপাত্রের মাধ্যমে জল গ্রহণ করলে পরিবারে সর্বদা সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।


৩. তবে ঠাকুরঘরে রাখা জলপাত্র খালি হয়ে গেলে পরিবারে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বিস্তার পায়। খালি জলপাত্র আর্থিক অনটনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাভাব লেগেই থাকে। আবার হাতে টাকা এলেও তা শীঘ্র খরচ হয়ে যায়।


এ ছাড়াও ঠাকুরঘরে ৪টি জিনিস অবশ্যই রাখবেন। এর ফলে ধন-সমৃদ্ধিতে পরিবারের সদস্যদের জীবন ভরে যাবে।


ময়ূরপঙ্খ


বাস্তু অনুযায়ী ময়ূরপঙ্খ নেতিবাচক শক্তি দূর রাখে। ঠাকুরঘরে ময়ূরপঙ্খ রাখলে পরিবারে সর্বদা ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে এবং অশুভ শক্তিকে প্রবেশ করতে দেয় না। উল্লেখ্য ময়ূরপঙ্খ কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। তাই ঠাকুরঘরে এটি রাখলে দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।


শঙ্খ


শঙ্খ লক্ষ্মীর অত্যন্ত প্রিয়। তাই ঠাকুরঘরে শঙ্খ থাকা অত্যন্ত প্রিয়। ঠাকুরের পুজোর সময় শঙ্খের পুজো করা উচিত। আবার শঙ্খ বাজালে পরিবারে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। এমন পরিবারে লক্ষ্মী বাস করেন।


গঙ্গাজল


হিন্দু ধর্মে অগ্নি ও গঙ্গাজলের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জীবনের প্রতিটি সংস্কারে গঙ্গাজল প্রয়োজনীয়। আবার প্রতিদিনের পুজোর সময় এটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ঠাকুরঘরে গঙ্গাজল থাকলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।



শালিগ্রাম


লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভের জন্য নিয়মিত শালিগ্রামের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শালিগ্রাম বিষ্ণুর এক রূপ। ঠাকুরঘরে এটি রেখে পুজো করলে লক্ষ্মী তুষ্ট হন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.