বর্ষায় ভুলেও খাবেন না এই পাঁচ ধরনের খাবার, কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বর্ষা ঢুকে গিয়েছে বাংলায়। গরমে তীব্র দাবদাহের প্রকোপ কমছে। যদিও মাঝে মধ্যে সূর্যের কড়া রোদে নাভিশ্বাস উঠছে অনেকের। কিন্তু, কখনও কখনও মিলছে স্বস্তি। এদিকে বর্ষার আগমনে একস্তরের মানুষ যেমন আনন্দিত, তেমনই অনেকে চিন্তিত। কারণ বর্ষা আসা মানে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থেকে যায়। এই অধিকাংশ রোগই হয় খাবারের জন্য। সঠিক নিয়ম মেনে না খেলে হতে পারে নানান রোগ। জেনে নিন বর্ষায় সুস্থ থাকতে কোন ধরনের খাবার থাবেন না। এই বর্ষায় সুস্থ থাকতে চাইলে ভুলেও ছোঁবেন না এই পাঁচ ধরনের খাবার।    


শাক খাবেন না এই বর্ষায়। বর্ষায় পোকামাকড়ের সমস্যা বাড়তে থাকে। এই সময় শাকে নোংরা জল লেগে থাকে। তাই যতটা পারবেন শাক কম খাবেন। একান্ত খেতে হলে ভালো করে পরিষ্কার করে খান। গরম জলে শাক ধুয়ে নিন। কিংবা দীর্ঘক্ষণ বরফ জলে ভিজিয়ে রাখুন শাক। এতে রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।  

 

ভাজাভুজি খাবার যতটা পারবেন কম খান। এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় না। এই ধরনের খাবার পাকস্থলিতে অতিরিক্ত চাপ ফেলে। ফলে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। 

 

সামুদ্রিক মাছ কম খান বর্ষার মরশুনে। এই সময় চিংড়ি, পরফ্রেট মাছ বেশি পাওযা যায়। এই বর্যা মাছের প্রজননের জন্য আদর্শ সময়। তাই ভালো মাছ পাওয়া যায় না। এতে বাড়ে শারীরিক জটিলতা। তাই যতটা পারবেন কম সামুদ্রিক মাছ খান।

 

ভুলেও খাবেন না আগে কেটে রাখা ফল। ফল কাটা থাকলে তাতে পোকা মাকড় বসে। এর থেকে ফুড পয়জেনিং হতে পারে। আবার কাটা ফল বাতাসের সংস্পর্শে এলে এতে নোংরা ছত্রাক জন্মায়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ভুলেও খাবেন না কেটে রাখা ফল। এতে বাড়বে শারীরিক জটিলতা। 

 

সুযোগ পেলেই সকলে কোল্ড ড্রিংক্স খেয়ে থাকি। অনেকের বাড়িতে ফ্রিজে সব সময় মজুত থাকে বিভিন্ন ড্রিংক্স। কিন্তু, বর্ষায় সুস্থ থাকতে চাইলে যতটা পারবেন কম ড্রিংক্স খান। এগুলো আমাদের শরীরে খনিজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে এনজাইমগুলো ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে বাড়তে থাকে জটিলতা। এবার বর্ষায় ভুলেও খাবেন না এই পাঁচ খাবার। তবেই বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.