অস্বীকার করা সম্পর্ককে রাজি করানোর কিছু কৌশল
ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে মনোবিজ্ঞানীরা অস্বীকার করা সম্পর্ক নিয়ে আশার কথা বলছেন। যেমন- কিছু সহজ কৌশলের মাধ্যমে অস্বীকার করা সম্পর্ককে রাজি করানো সম্ভব।
তো এবার জেনে নিন রিলেশনশিপ এক্সপার্ট কিম্বার্লি মফিটেরদেওয়া এমনই কিছু টিপস।
@ask_kimberly নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে কিম্বারলি মফিট তার ফ্যানদের উদ্দেশে কিছু টিপস দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এই টিপসের পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে, যা আমাদের প্রতি অন্যদের অনুভূতি জাগানোর চেষ্টা করে। কিম্বার্লি, একজন রিলেশনশিপ থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করেন, তার মতে এই টিপসগুলো আশ্চর্যজনক ভাবে কাজ করে।
কিম্বারলি দাবি করেছেন যে তিনি তার কর্মজীবনে বিভিন্ন গবেষণা করে মানুষের মন পড়ার চেষ্টা করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি কিছু টিপস প্রস্তুত করেছেন। কিম্বারলির মতে, একে বলা হয় রেসিপ্রোকাল লাইকিং কনসেপ্ট। কিম্বারলি জানান যে আমরা যদি কাউকে পছন্দ করি তবে তাদের এই সম্পর্কে জানানো উচিত এবং তাদের সঙ্গে সেই বিশেষ সংযোগ অনুভব করার দিকে মন দিতে হবে।
আরেকটি টিপ হলো একে অপরের মধ্যে নানান ধরনের মিল সম্পর্কে কথা বলা। এই মিলগুলো যেকোনো কিছু হতে পারে। এর কারণে আমাদের সামনের ব্যক্তিটি আমাদেরও নিজের মতো দেখতে শুরু করবে।
দেখাশোনার সময় মেকআপ প্রয়োগের পরিবর্তে, কখনও কখনও আমরা নিজেদের ন্যাচারাল চেহারাও তাদের দেখাতে পারি। বিশেষ করে যাকে আমরা ভালোবাসি। এতে উল্টো দিকের মানুষটিও খানিকটা স্বস্তি বোধ করেন।
চতুর্থ টিপ হিসেবে, কিম্বারলি বলেছেন যে আমাদের পছন্দের ব্যক্তিকে এটাও জানিয়ে রাখা ভালো যে, যে আমরা কিন্তু অন্য ছেলেদের প্রতিও আগ্রহী, এতে পছন্দের মানুষের মধ্যে একধরনের প্রোটেক্টিভ নেচার তৈরি হবে এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চাইবে।
কিম্বার্লির এই টিপসগুলো পড়ে, আমরা এখন হয় তো অনেকেই মনে মনে এসব ঝালিয়ে নিটে চেষ্টা করবো। আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে অন্তত কিছু সময়ের জন্য মিথ্যে উপেক্ষার ভান দেখাতে পারি। এতে উল্টেদিকের মানুষটির থেকে প্রশংসা মিলবে। আবার দেখা করার সময় মনোযোগ কম দেওয়া বা খুব একটা পাত্তা না দেওয়া এই সব ছোটখাটো টিপস কিন্তু প্রয়োগ করাই যায়!
Post a Comment