ঘি খেলে কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে? জেনে নিন কী বলছেন চিকিৎসকরা
ODD বাংলা ডেস্ক: কয়েক বছর আগে দেশি ঘি খাওয়া উচিত নয় বলে প্রচার করা হয়েছিল। এতে নাকি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। করোনারি আর্টারি ডিজিজ বাড়ে এবং হার্ট অ্যাটাক হয়। এই পয়েন্ট যে একেবারেই ভুল, তার প্রমাণ মিলেছে। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা প্রয়োজন। তবে পরে স্বল্পমেয়াদী গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয় যে যখন কেউ দেশি ঘি খাওয়া ছেড়ে দিয়ে তেলে রান্না শুরু করে, তখন মৃত্যুর হার বেড়ে যায় এবং অনেক রোগ দেখা দেয়।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ঘি খেতে হবে। ঘি খাওয়ার উপকারিতা এবং না খাওয়ার অপকারিতাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জেনে নিন বিস্তারিত। চিকিৎসকরা বলেন, কোনো জিনিস বেশি খেলে ক্ষতি হতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি বেশি উপকারী ফল খান তবে আপনি শরীরে চিনির পরিমাণ বাড়াবেন। শুকনো ফল এবং বাদামও সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। শাকসবজি ও দই এমন একটি জিনিস যা বেশি খেলেও ক্ষতি হয় না। সাধারণ অবস্থায় মানুষ দিনে ২ থেকে ৪ চামচ ঘি খেতে পারে।
৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঘি তরল হয়ে যায়। এর মানে হল যে এটি শরীরের তাপমাত্রায় তরল থাকে, অর্থাৎ এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট নয়। এর সাথে, আপনি যদি টেম্পারিং যোগ করেন বা মসুর ডাল যোগ করেন তবে এটি জমে না, মানে এটি ট্রান্স ফ্যাট হয়ে যায় না। টক্সিন তেল এবং ডালডা গঠিত হয়। ঘি এর ক্ষেত্রে এমন নয়।
দেশি ঘি-এর উপকারিতা
ঘিতে লিনোলিক এবং বিউটরিক অ্যাসিড রয়েছে যা আপনার হজমশক্তি ঠিক রাখে। লিনোলেনিক অ্যাসিড হার্টের উপকার করে। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। তারা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। পুরো শরীরের জন্য উপকারী। ঘি-এর মতো চর্বি মস্তিষ্ক, লিভার এবং হার্টের কার্যকারিতার জন্য ভালো। দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ, হাড় মজবুত, পরিপাকতন্ত্র ভালো। রক্ত জমাট বাঁধার ব্যবস্থা ঠিক থাকে কারণ এতে ভিটামিন ভারসাম্য থাকে।
ধমনীতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। ঘি বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস এড়াতে সাহায্য করে। চুল ও ত্বক নরম হয়। হার্টে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। যে কোন কার্যকলাপের জন্য স্ট্যামিনা উপলব্ধ। আয়ুর্বেদেও ঘির উল্লেখ আছে। যারা ঘি খান তাদের আলঝেইমার, ডিমেনশিয়া এবং সতর্কতার সমস্যা হয় না।
ঘি এর উপাদান মনকে শান্ত করে। যজ্ঞে ঘি ব্যবহার করা হয় কারণ এর আগুন বায়ুমণ্ডলকে সংশোধন করে। ঘি খেলে নয়, না খেলে ক্ষতি আছে। শারীরিক উর্বরতায়ও ঘি উপকারী।
Post a Comment