শুষ্ক চোখ: কী করবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: আজকাল আমাদের সবাইকেই স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়। আর স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। তখন চোখে জ্বালাপোড়া করে এমনকি দেখতে অসুবিধা হয়। চোখের শুষ্কতা একটি বড় যন্ত্রণা। কিন্তু এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কি?
চোখে শুষ্কতার মূল কারণ আমাদের চোখের আর্দ্রতার হেরফের হওয়া। এই হেরফের চোখে বিরূপ প্রভাব ফেলে। চোখে শুষ্কতার লক্ষণগুলো সহজেই বোঝা যায় না। তাই প্রথমে লক্ষণগুলো বুঝে নেওয়া জরুরি:
চোখে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া করা।
চোখ থেকে ক্রমাগত জল ঝরা।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে তা পরতে অসুবিধা হওয়া।
রাতে গাড়ি চালানোর সময় কিংবা হাটার সময় অসুবিধা হওয়া।
আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
চোখ ঘোলাটে হয়ে যাওয়া।
লালচে চোখ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ক্লান্তির অনুভূতি দূর হয় না।
এই সমস্যা নিয়ে হেলাফেলা নয় কেন?
চোখের শুষ্কতার পেছনে ভিটামিন এ এর ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নার্ভের সমস্যা এর কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিনে তাকানো এবং এয়ারকন্ডিশনে অনেকক্ষণ থাকলেও এই সমস্যা হয়। চোখের শুষ্কতা নিয়ে হেলাফেলা করা ঠিক না। কারণ এই সমস্যা হলে চোখে আলসার, ইনফেকশনের মত সমস্যা হয়।
চোখে শুষ্কতা থেকে দূর থাকতে যা করণীয়
লক্ষণ দেখে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কাজের ফাঁকে বিরতি নিয়ে অর্থাৎ অন্তত ২০ মিনিট পর স্ক্রিন থেকে চোখ তুলে অন্যদিকে কিছুক্ষণ তাকান।
আবার যখন দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকাবেন তখন মাঝে বিরতি নিন। পাঁচ মিনিট চোখ বুজে থাকুন।চোখের যত্নে মনোযোগ দিন।
চোখে তীব্র বাতাস বা এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস লাগতে দেবেন না।
বাইরে বেরুলে সানগ্লাস পড়ুন।
মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরুন।
আর্দ্র পরিবেশে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
চোখের লেভেলের কিছুটা নিচে তো বটেই একইসঙ্গে কম্পিউটার স্ক্রিন চোখ থেকে এক হাত দূরে রাখতে হবে।
খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার বাড়ান।
Post a Comment