চীনকে ছাড়া কি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরি সম্ভব?



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির চাহিদা। বিশ্বের পরাশক্তিগুলো তাই অর্থনৈতিক ও ভূরাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের অংশ হিসেবে নিজ দেশে এ ব্যাটারি তৈরির সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে সব দেশকে পেছনে ফেলে এ প্রতিযোগিতায় চীন বর্তমানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে।


বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি শিল্পকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে চীন প্রয়োজনীয় খনিজ উত্তোলন, প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ ও বড় বড় ফ্যাক্টরি নির্মাণ করছে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো এ শিল্পে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলেও চীন থেকে যেন কয়েক দশক পরিমাণ পিছিয়ে আছে।


কনসাল্টিং গ্রুপ বেঞ্চমার্ক মিনারেলস এর তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৈদ্যুতিক গাড়ির শতকরা ৫০ ভাগই তৈরি করবে চীন। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির এ শিল্পে আধিপত্য অর্জনে চীন কয়েকটি পর্যায়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।


প্রয়োজনীয় দুষ্প্রাপ্য খনিজ নিয়ন্ত্রণ


সাধারণ গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির জন্য ছয় গুণ বেশি দুষ্প্রাপ্য খনিজের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে এসব খনিজ কারা আগে সংগ্রহে নিবে এবং কত দামে নিবে এটাই মুখ্য বিষয়; এবং এর পুরোটাই অনেকটা চীনের নিয়ন্ত্রণে।


যদিও চীনে খুব বেশি পরিমাণে এসব প্রয়োজনীয় খনিজের খনি নেই। তবে দেশটি প্রতিনিয়ত সস্তা দামে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হাতে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা চীনা কোম্পানিগুলো পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের খনিজ উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলোতে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছে।


উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকা মহাদেশের দেশ কঙ্গোতে রয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ কোবাল্টের মজুদ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চীন দেশটির বেশিরভাগ কোবাল্টের খনিই কিনে নিয়েছে। দুষ্প্রাপ্য এ খনিজটি বৈদ্যুতিক ব্যাটারি তৈরিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।


এমনকি মার্কিন কোম্পানিগুলো সুবিধা করতে না পেরে নিজেদের কোবাল্টের খনি প্রতিপক্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। যার ফলে বিশ্বের কোবাল্ট উত্তোলনের প্রায় ৪১ ভাগ নিয়ন্ত্রণ এখন চীনের দখলে। একইসাথে বৈদ্যুতিক ব্যাটারির চার্জের জন্য প্রয়োজনীয় লিথিয়াম খনিজের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণও চীনের কাছেই।  

 

অন্যদিকে নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ, গ্রাফাইট ইত্যাদি খনিজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি এবং ব্যাটারি তৈরিতে খনিজগুলো খুব অল্পই ব্যবহৃত হয়। তবে এই খনিজগুলোকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে চীন।


কনসাল্টিং গ্রুপ সিআরইউ এর অনুমান মতে, ইন্দোনেশিয়ায় বড় বিনিয়োগের ফলে চীন ২০২৭ সালের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় ধাতু নিকেলের ওপর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হবে।    


এছাড়াও সবচেয়ে বেশি গ্রাফাইট উত্তোলন করা হয় চীনে। অপরদিকে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো সিনথেসাইজের মাধ্যমে গ্রাফাইট সংগ্রহ করে যা বেশ ব্যয়বহুল। আর তাছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো চীনের তুলনায় অত দ্রুত খনিজ উত্তোলন করতে পারছে না।  


চীনের সাথে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোরও বহির্বিশ্বে খনির মালিকানা রয়েছে। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা চীন থেকে ব্যতিক্রম। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলো খনিসমৃদ্ধ দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।    


পশ্চিমা দেশগুলোর একটি নতুন খনি পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে দুই দশকেরও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ লিথিয়াম খনিজে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ করেছে। তবে পরিবেশগত ও স্থানীয় এলাকার ক্ষতির বিষয়টি চিন্তা করে এ উদ্যোগও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।


খনিজ রিফাইনিংয়ে চীনের ওপর অন্যান্য দেশের নির্ভরশীলতা  


যে দেশেই খনিজ উত্তোলন করা হোক না কেন, উত্তোলনকৃত প্রায় সকল খনিজই ব্যাটারিতে ব্যবহারের উপযোগী হিসেবে রিফাইন করার জন্য চীনে পাঠানো হয়।


খনি থেকে আকরিক তোলার পর সেটিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে হয়। এরপর তাপ ও কেমিক্যালের মাধ্যমে আকরিক থেকে প্রয়োজনীয় খনিজটি আলাদা করা হয়। আর আকরিক থেকে খনিজ আলাদা করার সময় বহু অপ্রয়োজনীয় পদার্থ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, এক পাউন্ড রিফাইনড কোবাল্ট পাউডার তৈরি করতে প্রায় ৮৬০ পাউন্ড পাথর বর্জ্য হিসেবে পাওয়া যায়। 


এছাড়াও খনিজ রিফাইনিং করতে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রথাগত স্টিল কিংবা কপারের থেকে ব্যাটারিতে ব্যবহৃত খনিজগুলো রিফাইন করতে তিন থেকে চার গুণ বেশি জ্বালানির প্রয়োজন হয়।


উদাহরণস্বরূপ, ব্যাটারির অন্যতম উপাদান লিথিয়াম ব্যবহারের উপযোগী করতে তাপ, বাষ্পায়ন ও শুষ্কায়নের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে চীনা সরকার দেশীয় কোম্পানিগুলোকে কম দামে জায়গা ও জ্বালানী প্রদান করে থাকে। ফলে চীনেই সবচেয়ে সস্তা দামে বড় পরিসরে খনিজগুলো রিফাইন করা যায়।


রিফাইনিং এর ফলে বৃহৎ আকারে পরিবেশ দূষণও হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, নিকেল রিফাইনিং এর ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব বর্জ্য খুব সতর্কতার সাথে বিশেষ কাঠামোর মধ্যে দিয়ে সমুদ্রে কিংবা মাটির নিচে নিস্কাশন করা উচিত।


গ্রাফাইট রিফাইনিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাপক বায়ু দূষণ হয়ে থাকে। তবে চীনে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ কম থাকায় দেশটির রিফাইনিং কোম্পানিগুলো এর থেকে লাভবান হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজগুলো রিফাইনিং এর ক্ষেত্রে টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন করতে গেলে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে।    


অন্যদিকে চীনের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিফাইনিং সক্ষমতা যৎসামান্যই বলা যায়। দেশটিতে একটি রিফাইনারি ফ্যাক্টরি তৈরি করতে সাধারণত ২ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যায়।


এছাড়াও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি ঠিক করতে অতিরিক্ত আরও সময় ব্যয় করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৬ সালে চীনের সাথে যৌথ মালিকানায় অস্ট্রেলিয়াতে একটি লিথিয়াম রিফাইনারি ফ্যাক্টরি তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত বছর পর্যন্ত সেই রিফাইনারি ব্যাটারিতে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত লিথিয়াম তৈরি করতে পারেনি।


ব্যাটারির অধিকাংশ যন্ত্রপাতি তৈরি হয় চীনে


চীনে সবচেয়ে কম দামে কার্যকরীভাবে ব্যাটারির যন্ত্রাংশ তৈরি করা যায়। যার ফলে দেশটি বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি উৎপাদন করে থাকে।  


ব্যাটারির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ক্যাথোড; যা এর ধনাত্মক প্রান্ত হিসেবে কাজ করে থাকে। ব্যাটারির এই জটিল অংশটি তৈরির ক্ষেত্রে কয়েকমাস আগেও নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ ও কোবাল্ট ব্যবহার করা হতো যা এনএমসি ক্যাথোড নামে পরিচিত। এ ফর্মুলায় তৈরি ব্যাটারিতে অল্প জায়গায় খুব বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা যায় যা বৈদ্যুতিক গাড়ির লম্বা দূরত্ব অতিক্রমের জন্য বেশ দরকারি।  


তবে চীন এনএমসি ক্যাথোডের বিকল্প হিসেবে একই কার্যকারিতার লিথিয়াম, আয়রন ও ফসফেটের সমন্বয়ে এলএফপি ক্যাথোড প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে। যা বর্তমানে ক্যাথোড মার্কেটের প্রায় অর্ধেক দখল করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ ও কোবাল্টের পরিবর্তে খুব সহজলভ্য আয়রন ও ফসফেট ব্যবহার করা যায়।  


পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাটারি তৈরিতে অপর্যাপ্ত খনিজের সমস্যা সমাধানে এলএফপি ক্যাথোড প্রযুক্তিটি কার্যকরী হতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই বিশ্বের প্রায় সকল এলএফপি ক্যাথোড চীনে তৈরি হয়।


বর্তমানে বিশ্বের মোট ক্যাথোডের মাত্র ১ ভাগ উৎপাদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার সবগুলোই আবার এনএমসি ক্যাথোড। সম্প্রতি মার্কিন কোম্পানিগুলো এলএফপি ক্যাথোড তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে যৌথভাবে কাজটি করছে।  


শুধু ক্যাথোডই নয়, বরং চীনা কোম্পানিগুলো ব্যাটারির অন্য উপাদানগুলো তৈরিতেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্ত হিসেবে পরিচিত অ্যানোড, শর্ট সার্কিট মোকাবেলায় ব্যবহৃত সেপারেটর কিংবা বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কাজ করা ইলেক্ট্রোলাইট তৈরিতেও সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন।  


বিশ্বের সর্বাধিক বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ব্যাটারি উৎপাদনকারী দেশ চীন


একক দেশ হিসেবে চীনেই সবচেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করা হয়। আবার এসব গাড়িতে চীনে তৈরি ব্যাটারিই ব্যবহার করা হয়। ২০১৫ সাল থেকেই দেশটি বৈদ্যুতিক গাড়ির বৈদেশিক কোম্পানিগুলো দেশের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপের পলিসি গ্রহণ করেছে। যার ফলে চীনা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক কোম্পানি সিএটিএল ও বিওয়াইডি জাপানিজ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোকে টপকে বৈশ্বিক বাজার দখল করে নিয়েছে।   


চীনের এ পলিসি গ্রহণের আট বছর পর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ব্যাটারি শিল্পের উন্নয়নে একই ধরনের কৌশল নিতে যাচ্ছে। তবে এ শিল্পে কোম্পানিগুলো বড় বিনিয়োগের বিপরীতে তুলনামূলক কম লাভের সম্ভবনা থাকায় ব্যবসা পরিচালনা অতটা সহজ নয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম চীনা কোম্পানিগুলো। কেননা চীনা কোম্পানিগুলো প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে এবং বর্তমানে বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।  


জার্মান প্রফেসর হেইনার হেইমসের মতে, নর্থ আমেরিকা কিংবা ইউরোপের তুলনায় অর্ধেক খরচে চীনে ব্যাটারির ফ্যাক্টরি তৈরি করা সম্ভব। কম মজুরিতে শ্রমিক নিয়োগ ও দেশেই বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি তৈরি হওয়ার সুবাদে এ সুযোগ পাচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো।  


অন্যদিকে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। কেননা এখনো প্রথাগত গাড়ির ব্যবসাই বেশ লাভজনক। একইসাথে এক্ষেত্রে মার্কিন শ্রমিকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এছাড়াও দেশটি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্পে সরকারি প্রণোদনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে।    


দ্য সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) এর তথ্যমতে, বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে গবেষণা, ফ্যাক্টরিগুলোকে প্রণোদনা ও ভর্তুকির অংশ হিসেবে চীন ইতোমধ্যে প্রায় ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। এমনকি দেশটিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে ট্যাক্স হ্রাস করা, রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো, বাড়তি পার্কিং ও চার্জিং সুবিধা পাওয়া যায়। সরকারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ফলেই দেশটি বর্তমানে এ শিল্পে উৎপাদন, যন্ত্রপাতি তৈরি ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।   


বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চীন বাদে অন্য যেকোনো দেশের পক্ষে ব্যাটারি সাপ্লাই চেইনে স্বনির্ভর হওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্য দেশগুলো কম মজুরিতে শ্রমিক নিয়োগ কিংবা বৈশ্বিক অন্য কোম্পানি বা দেশের সাথে যৌথ মালিকানায়ও খুব বেশি সুবিধে করতে পারবে না। ব্যবসার কথা চিন্তা করে বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো বরং চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে পার্টনারশিপ করাই লাভজনক বলে মনে করবে।    


এ বিষয়ে সিএসআইএসের সিনিয়র উপদেষ্টা স্কট কেনেডি বলেন, "চীনের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া কোনো কোম্পানির পক্ষে বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্পে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়।"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.