‘ফেসকিনি’: গরম থেকে বাঁচতে চীনাদের জনপ্রিয় নতুন অস্ত্র
ODD বাংলা ডেস্ক: গরমে পুড়ছে চীন। রেকর্ডভাঙা ঝলসানো তাপমাত্রায় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এখন নতুন ফ্যাশনের নাম 'ফেসকিনি'।
চীনে বাতাসের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির কিছু অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছুঁয়েছে। দেশটির বাসিন্দা, ভ্রমণার্থীরা ছোট ছোট পোর্টেবল ফ্যান নিয়ে ঘুরছেন। রোদের তীব্রতায় শরীরকে ঝলসে যাওয়া থেকে বাঁচাতে গা ঢেকে চলাফেরা করছেন। কারও কারও হ্যাটেও যুক্ত করা হয়েছে ছোট পোর্টেবল ফ্যান।
এছাড়া রোদ থেকে বাঁচতে পুরো শরীর ঢাকা ফেসকিনি নামের এক পোশাক পরছে চীনারা। এই পোশাকে পুরো চেহারা ঢাকা পড়ে—চোখ ও নাকের জায়গায় থাকে শুধু ফুটো। এছাড়া দুই হাত ঢাকার জন্য থাকে আলাদা হাতা। চওড়া কোনাওয়ালা হ্যাট ও অতিবেগুনি রশ্মি-নিরোধক কাপড়ে তৈরি জ্যাকেট জ্যাকেটও ফেসকিনির অংশ।
চীনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ফেসকিনি।
ওয়াং নামে একজন ফেসকিনি বিক্রেতা রয়টার্সকে বলেন, 'দুই-তিন বছর আগের মহামারির তুলনায় এখন বিক্রি অনেক ভালো। এ বছর বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে।'
পূর্ব এশিয়ার অনেক নারী ভোক্তা ফর্সা ত্বক পছন্দ করে। দক্ষিণ কোরিয়াসহ এ অঞ্চলের অনেক রোদ থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয়।
বেইজিংয়ের পর্যটন এলাকায় মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছে লি জুয়ান। তাদের দুজনের পরনেই মাস্ক, যাতে চেহারা প্রায় পুরোটাই ঢাকা। ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থী লি জুয়ান বলে, 'আমার মূল উদ্বেগের বিষয় হল সম্ভাব্য চর্মরোগ বা মুখে সূর্যের দাগ পড়ে যাওয়া।'
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, পর্যটকরা একটি ১২ মিটার লম্বা থার্মোমিটারের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে। থার্মোমিটারটি সরাসরি জিনজিয়াংয়ের ফ্লেমিং পর্বতমালার ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দেখাচ্ছে।
Post a Comment