গাম ব্লিডিং এর সমস্যায় ভুগছেন, আজ থেকেই ব্রাশ করার সময় মেলে চলুন এই পদ্ধতিগুলি



 ODD বাংলা ডেস্ক: মুখের সুস্থতা অনেকাংশেই নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখার উপর নির্ভর করে। মুখ পরিষ্কার রাখার ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগ, গিংগিভিটিজ, পিরিওডন্টাল রোগ, হ্যালিটোসিস বা মুখের দুর্গন্ধ এবং অন্যান্য দন্তজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যপরিচর্যা বিষয়ক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দন্তচিকিৎসকগণ পরামর্শ দেন যে, প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণের পর সকালে কিংবা রাতে দু'বার নিয়মিতভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে দাঁতের গঠন সুন্দর এবং মজবুত হবে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।


দাঁত পরিষ্কার রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে দাঁতের আবরণে ও ফাঁকা জায়গায় অবস্থানরত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখে।সচেতনভাবে দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি নিয়মিত দন্তচিকিৎসকের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের ক্যালকুলাস বা টারটার এবং দাঁতে অবস্থানরত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূরীভূত হয়।


অনেক সময় আমরা ছোটদেরও দাঁতের যত্ন নেওয়ার এবং সঠিকভাবে ব্রাশ করার কথা বলি। তবে যেভাবে দাঁতের যত্ন আমরা বড়রা নেই তা সঠিক কিনা তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ব্রাশ করার সময় কোনও রকম তাড়াহুড়ো নয়। একটু সময় নিয়ে যত্ন করে ব্রাশ করুন। এছাড়া প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। সম্ভব হলে এর আগেই টুথব্রাশ পরিবর্তন করা যেতে পারে। প্রতি ছয় মাস পরপর দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


এক একজনের দাঁতের ধরণ এক এক রকমের হয়। প্রত্যেকেরই দাঁতের ধরন ভিন্ন। তাই দাঁতের সমস্যা বুঝে টুথপেস্ট বাছুন। ব্রাশ করার সময় খুব চাপ দিয়ে ব্রাশ করবেন না, বেশি চাপ দিলে দাঁতের উপর অধিক চাপ পড়বে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্রাশ করার সময় মাত্র দুটি বা তিনটি আঙ্গুলের বেশি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। সব সময় খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। খাবার পরে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। দাঁতের যত্ন নিতে সব সময় উন্নতমানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করা দাঁতের জন্য খারাপ। ব্রাশ কেনার সময় নজর রাখুন ব্রাশের ধরনের উপর।


আপনার মুখের ভিতরের অংশটিকে চারটি ভাগে ভাগ করুন এরপর প্রত্যেকটি ভাগে অন্তত ৩০ সেকেন্ড করে পরিষ্কার করার সময় দিন। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্রাশ করবেন না। এর ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত, যা দাঁতকে আরোও সুরক্ষা করবে। দাঁতের যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে পদ্ধতিটি কি না সেই বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.