এ বছর জন্মাষ্টমীর তারিখে বিভ্রান্তি, আপনি কোন দিন পুজো করবেন? জানুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্ববপূর্ণ উৎসব। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণ অবতারে মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করেন বিষ্ণু। তাই এই তিথিটি কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। রোহিণী নক্ষত্রে মথুরায় মাঝরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কৃষ্ণ। কৃষ্ণ লীলায় মাতোয়ারা নন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কমই। চলতি বছর কবে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, সে সব জেনে নিন এখানে।


২০২৩ সালে কবে পড়ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী?


চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টে ৩৮ মিনিটে অষ্টমী তিথির সূচনা হবে। শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৪টে ১৫ মিনিটে। কৃষ্ণ মাঝরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মাষ্টমীর পুজোও মাঝরাতে হয়। এ কারণে ৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। আবার জন্মাষ্টমী পুজোর শুভ সময় মাঝরাত ১২টা ২ মিনিট থেকে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।


উল্লেখ্য এমন তিথির কারণে স্মার্ত ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের জাতকরা পৃথক পৃথক দিনে জন্মাষ্টমী পালন করবেন। গৃহস্থ অর্থাৎ স্মার্ত সম্প্রদায়ভুক্তর জন্মাষ্টমী পালন করবেন ৬ সেপ্টেম্বর। এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই উৎসব ৭ সেপ্টেম্বর পালন করবেন। পারণ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা ৯ মিনিটের পর।


জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য ও পুজোর নিয়ম


প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের পূজার্চনা করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। পাশাপাশি ব্যক্তির ওপর কৃষ্ণের আশীর্বাদ বজায় থাকে।


জন্মাষ্টমীতে নাড়ু গোপালকে পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করে তাঁর বিশেষ শৃঙ্গার করা হয়। তার পর তাঁর প্রিয় মাখনমিশ্রীর ভোগ নিবেদন করা হয়। কৃষ্ণের বালক রূপের পুজো করলে সন্তান সুখ লাভ করা যায়।


এই জন্মাষ্টমীতে বাড়ি আনুন এই জিনিসগুলি


কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কিছু জিনিস বাড়ি আনতে পারেন। এর ফলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। এগুলি হল--


১. জন্মাষ্টমীতে নাড়ু গোপালের ছবি বাড়ি আনলে দাম্পত্য জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যায়।


২. এই তিথিতে বাড়িতে কামধেনু গোরু বাড়ি আনলে ব্যবসা ও কেরিয়ারে উন্নতি লাভ করতে পারবেন।


৩. ময়ূরপঙ্খ কৃষ্ণের প্রিয়। জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে ময়ূরপঙ্খ আনুন। এর ফলে পরিবারে ধন আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।


৪. বাঁশি কৃষ্ণের প্রিয়। বাস্তু দোষ দূর করতে জন্মাষ্টমী তিথিতে অবশ্যই বাঁশি বাড়ি আনবেন। এর ফলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে।


৫. জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে বীণা কিনে আনলে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে পারেন।


৬. এই তিথিতে মধু কিনে আনুন এবং কৃষ্ণকে তার ভোগ নিবেদন করুন। এর ফলে পরিবারে কখনও ধন-ধান্যের অভাব থাকবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.