জীবনের ৩৮ বছর নখ কাটেননি তিনি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীটা বড়ই বৈচিত্রময়। আর এই বৈচিত্রময় পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের ভীড়ে কতই না বিচিত্র স্বভাবের মানুষ আছেন! সেসব মানুষকে রেকর্ডের স্বীকৃতি দিচ্ছে গিনেস ওয়ার্ল্ড। এমনই একজন ব্যক্তি মেলভিন ফিজেল বুথে। যিনি জীবনের ৩৮ বছর হাতের নখ কাটেননি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের পন্টিয়াক শহরের বাসিন্দা ছিলেন মেলভিন। ২৭ বছর পন্টিয়াক জেনারেল হাসপাতালে চাকরির পর অবসর নেন। এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। সবকিছু আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো হলেও একটি বিষয়ে সবার থেকে আলাদা ছিলেন তিনি।


১৯৭০ সাল থেকে হাতের নখ কাটেননি মেলভিন। ২০০৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন তিনি। সেসময় বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নখ পুরুষ বিভাগে রেকর্ড করেন মেলভিন। এমনকি এখনো এই বিভাগে তার রেকর্ড ভাঙতে পারেননি কেউ। তার নখের দৈর্ঘ্য ৯.৮৫ মিটার বা ৩২ ফুট ৩.৮ ইঞ্চি। তার বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির দৈর্ঘ্যই ছিল ১১৪.৩ সেমি বা ৪৫ ইঞ্চি।


৬১ বছর বয়সে ২০০৯ সালে তাকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব দেওয়া হয়েছিল। রেকর্ড করার সাত মাস পরই মারা যান মেলভিন। তবে এখনো কোনো পুরুষ তার এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। সবশেষ এই বিভাগে রেকর্ড করেন ভারতের শ্রীধর চিল্লাল। তার নখ ৩০ ফুট লম্বা।


শ্রীধর চিল্লাল ৬২ বছর ধরে তার বাঁ হাতের আঙুলের নখ কাটেননি। সর্বশেষ তিনি নখ কেটেছিলেন ১৯৫২ সালে। সেসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হ্যারি ট্রুম্যান। তখন প্রতি গ্যালন গ্যাসের দাম ছিল মাত্র ২০ সেন্ট। সেই তখন থেকে নখ না কাটায় চিল্লালের নখ বেড়ে হয়েছে ৩০ ফুট (৯ মিটার)। যদিও তিনি ২০১৮ সালে নখ কেটে ফেলেন।


মেলভিন অন্যদের মতো স্বাভাবিক সব কাজই করতেন। রান্না করা, থালাবাসন পরিষ্কার করা সবই করতেন। তবে এজন্য তাকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হতো। যেন সাধের নখগুলো ভেঙে না যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.