বাড়ির এই ৫ জিনিস ভুলেও খালি রাখবেন না, বাস্তু দোষে পথের ভিখারি হয়ে যেতে পারেন
ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার কি মনে হচ্ছে যে আপনার সৌভাগ্য হঠাত্ করে দুর্ভাগ্যে পরিণত হয়েছে? ভালো সময় চলতে চলতে আচমকা খারাপ সময় শুরু হয়েছে? হতে পারে বাস্তু দোষের কারণে এমনটা ঘটছে। বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে তা নেগেটিভ এনার্জি প্রবাহিত করে। এই নেগেটিভ এনার্জি সংসারের নানা রকম বিপদ ডেকে আনে।
বাস্তুশাস্ত্র বাড়িতে কয়েকটি জিনিস কখনোই ফাঁকা রাখতে নেই। এই জিনিসগুলো ফাঁকা থাকলে তার থেকে গুরুতর বাস্তুদোষ তৈরি হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে এই নেগেটিভ এনার্জি আপনাকে পথের ভিখারি করে দিতে পারে। বাস্তু অনুসারে এই জিনিসগুলি ফাঁকা রাখলে তা আপনার উন্নতিতে বাধার সৃষ্টি করবে।
জেনে নিন বাড়িতে কোন পাঁচ জিনিস কখনোই ফাঁকা রাখতে নেই।
চাল ডালের কৌটো
রান্নাঘরে চাল ডালের কৌটো কখনোই পুরোপুরি ফাঁকা করবেন না। কৌটোর শস্য শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই সেখানে নতুন শস্য ঢেলে রাখুন। খালি শস্য ভাণ্ডার গুরুতর বাস্তু দোষ তৈরি করে। যে সংসারে চাল ডালের কৌটো ফাঁকা থাকে, সেই সংসার থেকে বিদায় নেন মা লক্ষ্মী। শস্যের কৌটো পুরোপুরি ভর্তি থাকলে তা পজিটিভ এনার্জি প্রবাহিত করে।
বাথরুমে খালি বালতি
বাস্তু অনুসারে বাথরুমে কখনোই খালি বালতি রাখতে নেই। বাথরুমে রাখা শূন্য বালতি থেকে সারা বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আপনি ব্য়বহার না করলেও বাথরুমের বালতি জলে ভর্তি করে রাখুন। বাথরুমে কখনোও কালো রঙের বালতি ব্যবহার করবেন না। ভাঙা বা ফেটে যাওয়া বালতিও ঘরে রাখবেন না। বাথরুমে নীল রঙের বালতি ব্যবহার করা সবচেয়ে শুভ বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র।
ঠাকুর ঘরে জলের পাত্র
ঠাকুর ঘরে বা ঠাকুরের আসনে যে পাত্রে জল রাখেন, তা যেন কখনোই ফাঁকা না হয়ে যায়। এর ফলে বাড়িতে অশুভ শক্তির সঞ্চার হয়। পুজোর পরে জলের পাত্র জলে ভরে রাখুন, সেখানে একটু গঙ্গাজল ও তুলসী পাতা দিয়ে রাখুন। কারণ মনে করা হয় ভগবানেরও তৃষ্ণা পায়। তৃষ্ণার জল না পেলে তিনি কূপিত হন। তখন সেই সংসারে নানা বিপদ ও অশান্তি মাথা তুলতে পারে।
ফাঁকা লকার
আলমারির লকার বা সিন্দুক কখনও পুরোপুরি ফাঁকা করবেন না। অল্প হলেও সেখানে টাকা রাখুন। কারণ বাস্তু অনুসারে ফাঁকা লকার সংসারে দারিদ্রের ইঙ্গিত করে। লকারে মা লক্ষ্মী বাস করেন বলে মনে করা হয়। তাই শূন্য লকার থাকার অর্থ সেই সংসার থেকে লক্ষ্মী বিদায় নিয়েছেন। লকার বা পার্স কোনও সময় পুরোপুরি ফাঁকা করবেন না।
প্রবীণের অপমান
আমরা কী কথা বলছি এবং কী ভাবে বলছি, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে সংসারে কথায় মিষ্টতা শূন্যতা হয়ে যায়, সেই সংসারে অশান্তি নেমে আসে। বিশেষ করে যে সংসারে প্রবীণদের অপমান করা হয়, সেই বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি চরম আকার নিতে পারে। তাই বাড়িতে সব সময় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখুন। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। তাহলেই পজিটিভ এনার্জি বজায় থাকবে।
Post a Comment