অসুস্থ রোগীর সঙ্গে উদ্দাম যৌন সঙ্গম! অর্ধনগ্ন অবস্থাতেই ধরা পড়লেন নার্স

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রোগীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেকদিন ধরেই। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বারবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া নিয়ে সতর্ক করেছিলেন অন্যান্য সহকর্মীরাও, কিন্তু, ব্রিটেনের ওয়েলস-এর ৪২ বছর বয়সী নার্স পেনেলোপ উইলিয়ামস-এর সেইসব সাবধানবাণী কানে যায়নি মোটেই। তার জেরেই তাঁকে খেসারত দিতে হল প্রেমিকের জীবন খুইয়ে এবং নিজের চাকরি হারিয়ে। লজ্জাজনক সেই ঘটনায় সম্মান বাঁচানোর দায়ে পড়েছে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।


পেনেলোপ উইলিয়ামস যে হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন, সেই হাসপাতালেরই অন্য এক নার্সকে একদিন তিনি ফোন করেন হাসপাতালের নীচের পার্কিং লট থেকে। তাঁর ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পার্কিং লটে ছুটে চলে আসেন হাসপাতালের জরুরী পরিষেবাদায়ী কর্মীরা। তাঁরা এসে দেখতে পান যে, পেনেলোপের জামাকাপড় একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে, তাঁর প্যান্টও তখন অর্ধেক খোলা! এই পরিস্থিতিতে ওই নার্স তাঁদেরকে ডেকে দেখান যে, পার্কিং লটে একটি গাড়ির মধ্যে অসাড় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই রোগী এবং দেখা যায় যে, সেই রোগীরও পরনের প্যান্ট তখন খোলা।


ওই গুরুতর অসুস্থ রোগী হাসপাতালে এসেছিলেন ডায়ালেসিস নেওয়ার জন্য। তার আগেই নিজের গাড়িতে তাঁকে প্রথমে অসাড় অবস্থায় পাওয়া যায়, তারপর শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক প্রশ্ন উঠতে থাকে। আদালতের কাছে পেনেলোপ উইলিয়ামস জানিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ‘কথা বলা’-র জন্যই ওই সময়ে পার্কিং লটে গিয়েছিলেন এবং কথা বলতে বলতেই তাঁর প্রেমিক হঠাৎ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কিন্তু, তার পরেই জোরালো প্রশ্নের চাপে পড়ে তিনি স্বীকার করে নেন যে, প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির ভেতরেই উদ্দাম যৌন লীলায় মত্ত হয়ে উঠেছিলেন পেনেলোপ।


রোগীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন "হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা এবং একটি চিকিৎসা পর্বের কারণে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ"। কিন্তু, পেনেলোপ উইলিয়ামসের দোষ প্রমাণ হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, তাঁকে চাকরিতে বহাল রেখে দিলে নার্সিং জীবিকার প্রতি সাধারণ মানুষের অশ্রদ্ধা তৈরি হবে। কারণ, তিনি শুধু তাঁর পেশার মর্যাদাই লঙ্ঘন করেননি, রোগী ব্যাপকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন দেখেও তিনি কোনও অ্যাম্বুলেন্স ডাকার উদ্যোগ নেননি, এই কারণে তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবেও ব্যর্থ। তাই, হাসপাতালের ডিউটিতে বহাল থাকাকালীন গুরুতর অসুস্থ রোগীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.