এই সময়গুলিতে ভুলেও করবেন না পুজো, সর্বনাশ হতে পারে আপনার!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হওয়ায় উৎকৃষ্ট পন্থা হল পূজার্চনা। এর মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি ব্যক্তির বিশ্বাস, শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়। পুজোর সময়ে ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণরূপে সমর্পিত হলে ইতিবাচক শক্তি অনুভব করতে পারবেন। এর ফলে মনে শান্তি ও সদ্ভাবনা থাকবে। তবে শাস্ত্রে দেবদেবীর পুজোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুজোর জন্য কিছু নিয়মের উল্লেখ রয়েছে। যা মান্য করে দেবী-দেবতার পুজো করা উচিত। তা না-হলে হীতে বিপরীত হতে পারে। পুজোর নিয়ম, কখন পুজো করবেন ও কখন কোন করবেন না, এ সবই আলোচনা করা হল এখানে।


শৌচ ও স্নান না-করে পুজো করবেন না


শাস্ত্র মতে শৌচ ও স্নান সম্পন্ন না-করে কখনও পুজো করা উচিত নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে পুজো করলে শুভ ফল লাভ করা যায়। পুজোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে গুরুত্ব না-দিলে দেবদেবী রেগে যেতে পারেন। এর ফলে জীবনে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।


এ ভাবে ভুলেও করবেন না পুজো


আরতীর মাঝে পুজো করা উচিত নয়। পুজোর সময় পুজো করবেন এবং আরতীর সময়ে আরতী করা উচিত। আরতীর পাশাপাশি পুজোর সামগ্রী ঠাকুর-দেবতাকে নিবেদন করবেন না। আরতী আসলে ঈশ্বর বন্দনা ও ভজনের অংশ।


এ সময়ে করবেন না পুজো


দুপুরবেলা কখনও পূজার্চনা করতে নেই। এ সময়ে পুজো করলে তা দেবদেবী স্বীকার করেন না। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৪টে পর্যন্ত দেবদেবীর বিশ্রামের সময়। তাই এই সময়কালের মধ্যে পুজো করলে পূর্ণ ফলাফল লাভ করা যায় না। আবার ঈশ্বরের বিশ্রাম বিঘ্নিত হয়। এর ফলে তাঁরা ক্ষুব্ধ হতে পারেন।


অন্য দিকে সন্ধ্যারতীর পর পুজো করা বর্জিত। ধর্মীয় কাজের জন্য রাতের সময়কে নিষিদ্ধ মনে করা হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন দীপাবলী, হোলি, করও চৌথ, কালী পুজো, জন্মাষ্টমীতে রাতের বেলা পুজো করা যায়। কিন্তু অন্যান্য সময়ে সন্ধ্যারতীর পর পুজো করবেন না। কারণ তখন দেবদেবী বিশ্রাম করেন। তাই সন্ধ্যার পর পুজো করলে, তাঁদের বিশ্রাম বিঘ্নিত হয়।


এ ছাড়াও বাড়িতে জন্ম বা মৃত্যুর সময় সূতককাল মান্য হলে পুজো করবেন না। এমন সময়ে পূজার্চনা শাস্ত্রে বর্জিত। সূতক সমাপ্ত হওয়ার পর পুজো ও দেবমূর্তি স্পর্শ করা উচিত।


মহিলারা এ সময়ে করবেন না পুজো


শাস্ত্র মতে মাসিক ধর্মের সময়ে মহিলাদের পুজো করা উচিত নয়। উপবাস করা যেতে পারে, তবে মূর্তি স্পর্শ করবেন না। আবার এ সময়ে কাউকে দান-দক্ষিণা দেবেন না। পুরাণ অনুযায়ী এ সময়ে শুদ্ধি প্রক্রিয়া চলে, তাই সাংসারিক কাজ ও পূজার্চনা থেকে নিবৃত্ত থাকা উচিত। এ সময়ে মহিলারা নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। মানসিক জপ করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.