জীবনে উন্নতি করবেন না অসাফল্যের অন্ধকারে হারিয়ে যাবেন? জানাবে আপনার হাতের আঙুল



 ODD বাংলা ডেস্ক: সামুদ্রিক শাস্ত্রে ব্যক্তির শরীরে অঙ্গের আকার, গঠন, প্রকৃতির ভিত্তিতে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। ঋষি সমুদ্র এই শাস্ত্র রচনা করেন বলে এর নাম হয় সামুদ্রিক শাস্ত্র। এই শাস্ত্র মতে ব্যক্তির আঙুলের আকৃতি, প্রকৃতি ও গঠন দেখে ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। এমনকি সেই ব্যক্তি কতটা বুদ্ধিমান, জীবনে সফল হবে না অসফল থেকে যাবে, এ সবই আঙুলের আকৃতি ও গঠন জানিয়ে দিতে পারে। হাতের পাঁচ আঙুলের মধ্যে কোনটি আপনার সম্পর্কে কী জানায় জেনে নিন এখানে।


কনিষ্ঠা আঙুল


সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী কনিষ্ঠা আঙুলের সাহায্যে ব্যক্তির পারিবারিক পরিস্থিতি ও আর্থিক জীবন সম্পর্কে জানা যায়। এই শাস্ত্র অনুযায়ী কনিষ্ঠা আঙুল যত লম্বা হয়, ব্যক্তি ততটাই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে থাকে। পাশাপাশি দূরদর্শী হয় এমন আঙুলের ব্যক্তিরা। তবে সমস্ত কথাকে তর্কের মাধ্যমে শেষ করেন। সমাজে নিজের পৃথক পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হন এই জাতকরা। এঁরা প্রচুর মান-সম্মান লাভ করেন।


অনামিকা আঙুল


কনিষ্ঠার পাশের আঙুলটি অনামিকা। এই আঙুলের সাহায্যে ব্যক্তির আবেগ, স্বাস্থ্য, নাম, যশ ইত্যাদি দেখা যায়। তবে হাতে এই আঙুল স্বাভাবিকের তুলনায় লম্বা হলে ব্যক্তি জেদি, রাগী হয়ে থাকে। তবে মাঝারি উচ্চতাবিশিষ্ট অনামিকা আঙুলকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। এমন জাতক ভাগ্যের সঙ্গ পান। নিজের চেষ্টার জোরে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছন এঁরা।


তর্জনী আঙুল


সামুদ্রিক শাস্ত্র মতে এই আঙুলের সাহায্যে ব্যক্তির কেরিয়ার ও উন্নতি সম্পর্কে জানা যায়। তর্জনী লম্বা ও সোজা হলে ব্যক্তি জীবনে বিশেষ উন্নতি করতে পারে। পাশাপাশি এঁরা ঘোরাফেরার শখ রাখেন। বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে চান এমন জাতক। এঁরা সমস্ত সুখ লাভ করেন। তবে তর্জনী ও অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্য এক সমান হলে তাকে অশুভ মনে করা হয়। এমন হলে বুঝতে হবে যে সেই ব্যক্তি মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল। পাশাপাশি সেই ব্যক্তির সমস্ত কিছু ভোলার স্বভাব রয়েছে।


মধ্যমা আঙুল


হাতের মাঝখানের আঙুলটিই মধ্যমা। এই আঙুল সবচেয়ে লম্বা হয়। শাস্ত্র মতে মধ্যমা যত লম্বা হবে ব্যক্তি কেরিয়ার ও ব্যবসায় ততই সুনাম অর্জন করে। সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী এই আঙুল অনামিকার চেয়ে ছোট হলে ব্যক্তিকে জীবনে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমন জাতককে সারাজীবন ধরে সংঘর্ষ করে যেতে হয়। আবার এই আঙুলে তিল থাকা অশুভ।


বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ


সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী স্থূল বা মোটা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ শুভ নয়। এমন ব্যক্তি রাগী প্রবৃত্তির হয়ে থাকে। তবে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের নখ চওড়া, সঠিক দৈর্ঘ্য ও স্থূলতা থাকলে ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। সকলে এঁদের কাছে পরামর্শ চাইতে আসেন। অন্য দিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ বড় হলে এবং তা বাইরের দিকে মুড়লে সেই জাতক আত্মবিশ্বাসী ও কার্যকুশল হয়ে থাকেন। ছোট ও দুর্বল বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ব্যক্তিকে জীবনে দুর্বল ও অসফল করে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.