দুর্বল চন্দ্র-শুক্র কেড়ে নিয়েছে সুখ-সমৃদ্ধি? শ্রাবণের টোটকায় মজবুত হবে এই ২ গ্রহ
ODD বাংলা ডেস্ক: ভোলানাথকে খুশি করে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার শ্রেষ্ঠ মাস হল শ্রাবণ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শ্রাবণ মাস। শাস্ত্র মতে এই মাসে কিছু সহজ উপায়ে নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তার পাশাপাশি ব্যক্তির জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির আগমন হয়। শুধু তাই নয়, গ্রহ দোষের হাত থেকে মুক্তি পেতে শ্রাবণ মাসে বিশেষ কিছু উপায় করতে পারেন।
কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠীতে শুক্র ও চন্দ্র দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকলে এই মাসে কিছু উপায় করে, সেই দোষ দূর করতে পারেন। শাস্ত্র মতে শ্রাবণ মাসে চন্দ্র ও শুত্র স্বাভাবিক ভাবেই মজবুত থাকে। তাই এই মাসে সহজ কিছু উপায় করলে এই দুই গ্রহের আনুকূল্য লাভ করা যায়। চন্দ্র ও শুক্র মজবুত হলে ব্যক্তির ভাগ্যোদয় নিশ্চিত।
শ্রাবণ জলতত্বের মাস। আবার কোষ্ঠীতে উপস্থিত চন্দ্র ও শুক্র জলতত্বের গ্রহ। কোষ্ঠীতে এই দুটি গ্রহ দুর্বল হলে ব্যক্তি সুখী থাকতে পারে না। তাঁদের জীবনে প্রেম, ভালোবাসা, আনন্দের অভাব থাকে। তাই শ্রাবণে শিবের পুজো করার পাশাপাশি চন্দ্র ও শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু উপায় করলে সুফল পেতে পারেন।
শ্রাবণ মাসে শুক্রকে মজবুত করার জন্য কী করবেন?
১. শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার থেকে শুরু করে ২১ বা ৩১ টি শুক্রবার উপবাস করুন। এর ফলে শুক্র মজবুত হবে এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন।
২. শ্রাবণের প্রতিটি শুক্রবার সাদা পোশাক পরে ওম দ্রাং দ্রীং দ্রৌং সঃ শুক্রায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন। ৫, ১১ বা ২১ মালা মন্ত্র জপ করলে শুক্র প্রবল হবে।
৩. শুক্রকে মজবুত করার জন্য সাদা খাদ্যবস্তু গ্রহণ করুন।
৪. শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার সাদা ফুল দিয়ে শিবের পুজো করলে শুক্রকে মজবুত করতে পারেন।
৫. সাদা স্ফটিক মালা ধারণ করলে ও টক খাবার না-খেলেও শুক্রের শুভ ফল পেতে পারেন।
শ্রাবণ মাসে চন্দ্রকে মজবুত করার উপায়
১. চন্দ্রকে মজবুত করার জন্য শ্রাবণের প্রথম সোমবার থেকে শুরু করে ১০ সোমবার উপবাস করুন। এর ফলে চন্দ্র মজবুত হবে এবং মানসিক শান্তি লাভ করবেন।
২. শ্রাবণের প্রথম সোমবারে স্নান করার পর সাদা পোশাক পরে ওম শ্রাং শ্রীং শ্রৌং সঃ চন্দ্রায় নমঃ মন্ত্রটির ৩, ৫ বা ১১ মালা জপ করুন।
৩. নুন ছাড়া খাবার খান। এ ছাড়াও ব্রাহ্মণকে ঘিয়ের কলসি, দই, শঙ্খ, সাদা পোশাক, মুক্তো, রুপো দান করলে চন্দ্র দোষ দূর হয়।
৪. শ্রাবণ মাসের প্রতিদিন শিব ও পার্বতীর পুজো করুন। শিব চন্দ্রকে ধারণ করে থাকেন, তিনিই চন্দ্রশেখর। শিব প্রসন্ন হলে চন্দ্রের আশীর্বাদ লাভ সম্ভব হবে।
Post a Comment