জরায়ুর ক্যান্সার মোকাবিলায় প্রথম দেশীয় টিকা, খুব শীঘ্রই বাজারে ছাড়ছে সিরাম ইনস্টিটিউট



 ODD বাংলা ডেস্ক: জরায়ুর ক্যান্সার মোকাবিলায় টিকার জন্য এখন আর অন্য দেশের ভরসায় থাকতে হবে না। জরায়ুর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম টিকা বাজারে আনছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে 'সারভাভ্যাক'। এখন বেসরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই টিকা পাওয়া যাচ্ছে। এ বছরের শেষদিকে সরকারি সংস্থাগুলিও এই টিকা বাজারে ছাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টিকা তৈরি করা যেতে পারে। এই টিকার ২টি ডোজ নিতে হবে। একটি ভায়ালের দাম রাখা হয়েছে ২,০০০ টাকা। ভারতে প্রতি বছর জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১.২৩ হাজার জনের মতো। প্রতি বছর এই রোগে মৃত্যু হয় অন্তত ৭৭ হাজার জনের। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ভারতে জরায়ুর ক্যান্সার কতটা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী। সারা বিশ্বের ৫ ভাগের ১ ভাগ জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত ভারতেই। সেই কারণে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।


রুবি হল ক্লিনিকে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার এইচপিভি ভ্যাকসিন স্টাডির প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ড. স্মিতা জোশী জানিয়েছেন, ‘জরায়ুর ক্যান্সার মোকাবিলার ২টি হাতিয়ার আছে। বয়ঃসন্ধিতে থাকা মেয়েদের টিকা দিতে হবে আর প্রাপ্তবয়স্কদের এইচপিভি টেস্ট করাতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সি সব মহিলারই এইচপিভি টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। জরায়ুর ক্যান্সারের কোনওরকম উপসর্গ দেখা না গেলেও সবারই এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। প্যাপ স্মিয়ারের চেয়ে এইচপিভি টেস্টের মাধ্যমে অনেক ভালোভাবে বোঝা যায় জরায়ুর ক্যান্সার হয়েছে কি না। বয়ঃসন্ধিতে থাকা মেয়েদের অবশ্যই টিকা নেওয়া উচিত।’


ড. জোশী আরও জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জরায়ুর ক্যান্সারের টিকা তৈরি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। বিল মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশনও এই টিকা তৈরির কাজে সাহায্য করেছে। ভারতে ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সি মেয়েদের এই টিকা দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। মার্কসের এইচপিভি ভ্যাকসিনের চেয়ে কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা।’


সিরাম ইনস্টিটিউটের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এ বছর জরায়ুর ক্যান্সারের টিকা বেশি পাওয়া যাবে না। তবে আগামী বছর এই টিকা উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.