খোলা বাথরুমের দরজা সমস্যা বাড়ায় জীবনে, এ বার সতর্ক হন!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাথরুমের দরজা খোলা রাখার বদঅভ্যাস রয়েছে অনেকের। বিশেষত বাচ্চারা বাথরুম থেকে বেরোনোর সময় তার দরজা বন্ধ করে না। আপনাদের মনে হতেই পারে, এ কী এমন ব্যাপার! বাথরুমের দরজা খোলা রাখার ফলে জীবনে কত সমস্যা আসতে পারে, তা জানলে চমকে উঠতে পারেন আপনি। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রবেশ দ্বার দিয়ে যেমন বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন ঘটে, তেমনই বাথরুমের খোলা দরজা দিয়ে আপনার গৃহে প্রবেশ করতে পারে নেতিবাচক শক্তি। তাই বাথরুমের দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বাস্তু শাস্ত্র। এই দরজা খোলা থাকলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে নিন।


১. কোনও দেবস্থানে প্রবেশ করলে ব্যক্তির মন যেমন নির্মল হয়, ইতিবাচক এবং শুভ উৎসাহে ভরে যায়, তেমনই বাথরুমের খোলা দরজা ঠিক এর উল্টোটি ঘটিয়ে থাকে। বাস্তু অনুযায়ী বাথরুমের দরজা খোলা রাখলে সেখান থেকে বেরনো নেতিবাচক শক্তি ওই বাড়িতে বসবাসকারীদের মধ্যে অশুভ প্রভাব বিস্তার করে। শুধু তাই নয়, এই শক্তিশালী নেতিবাচক শক্তি বাড়ির পজিটিভ এনার্জিকেও শুষে নেয়।


২. দাম্পত্য কলহ, বিবাদ, ঝগড়া, মনোমালিন্যের অন্যতম কারণ হল এই বাথরুমের খোলা দরজা। কারণ এখান থেকে নির্গত নেতিবাচক শক্তি স্বামী-স্ত্রীর মন বিষিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে বাস্তু শাস্ত্র।


খোলা বাথরুমের দরজা সমস্যা বাড়ায় জীবনে, এ বার সতর্ক হন!


৩. এ ছাড়া বাথরুমের দরজা খোলা রাখার এই বদঅভ্যেসটি আপনাকে আর্থিক ক্ষতের মুখে ফেলতে পারে।


৪. বাথরুম থেকে বেরনো এই অশুভ শক্তি ব্যক্তির জীবনে শুধু পারিবারিক সমস্যাকেই স্বাগত জানায় না, বরং সামাজিক জীবনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই সামাজিক ক্ষেত্রে অপমানিত হতে শুরু করেন।


৫. পরিবারের ছোট সদস্যদের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে বাথরুমের খোলা দরজা। কারণ এর কুপ্রভাবে বাচ্চারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে না।


৬. আবার আপনি যতই পূজার্চনা করুন না-কেন, সে সবের ওপরই জল ঢেলে দিচ্ছে আপনার বাড়ির এই দোষ। বাথরুম থেকে বেরোনো নেতিবাচক শক্তি আপনার ধর্মকর্মের ফলে প্রাপ্ত পুণ্যকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.