লবণের দানার চেয়েও ছোট ব্যাগ! নিলামে বিক্রি হল ৬৩ হাজার ডলারে!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি লবণের দানার চেয়েও ছোট একটি হ্যান্ডব্যাগ তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত আর্ট কালেকটিভ প্রতিষ্ঠান এমএসসিএইচএফ। আকর্ষণীয় এ ব্যাগটি নিলামে ৬৩ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। খবর বিবিসির। 


ব্যাগটি বিলাসবহুল ফ্যাশনপণ্য নির্মাতা ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর একটি ব্যাগের আদলে তৈরি করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডটির সাথে ক্ষুদ্র এ ব্যাগটির সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।


আলোড়ন তৈরি করা ব্যাগটি আকারে মাইক্রোমিটার পর্যায়ের (৬৫৭ x ২২২ x ৭০০ মাইক্রোমিটার)। ডিজাইনের দিক থেকে ব্যাগটি সবুজ রঙের ওপর কারুকাজ করা; সাথে রয়েছে অতিক্ষুদ্র পকেটও।


এমএসসিএইচএফ এর পক্ষ থেকে ব্যাগটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, "ব্যাগটি এতটাই পাতলা যে, সুচের ফুটো দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। একইসাথে এর আকার এতটাই ছোট যে, এটির ডিজাইন দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হবে।"


আর্ট কালেকটিভ এমএসসিএইচএফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনভিত্তিক একটি কোম্পানি। এটি বিচিত্র সব ডিজাইনের পণ্য তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছে।   


এর আগে কোম্পানিটি মানুষের রক্ত ধারণ করা জুতা, ডব্লিওডি-৪০ এর মতো গন্ধযুক্ত সুগন্ধি ও রবারের তৈরি লাল রঙের বড় বুট তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে। এবার কোম্পানিটি বাজারে নিয়ে এলো আকারে অতি ক্ষুদ্র এ হ্যান্ডব্যাগ।  


ব্যাগটি সম্পর্কে এমএসসিএইচএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আকারে ছোট, মাঝারি ও ক্ষুদ্র হ্যান্ডব্যাগ রয়েছে। কিন্তু এটি ব্যাগের আকার ছোট করার একেবারে শেষ ধাপ।"


ব্যাগটি তৈরিতে থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। আর উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ফটোপলিমার রেজিন।  


নিলামে বিক্রিকৃত ব্যাগটির সাথে ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। যাতে ক্রেতা অতি সহজেই অতিক্ষুদ্র এ ব্যাগটি দেখতে পারেন। 


ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দামে বেশ ভিন্নতা রয়েছে। অনলাইনে যন্ত্রটির দাম ৬০ ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত।   


১৫ হাজার ডলার থেকে ব্যাগটির নিলাম শুরু হয়েছিল। তবে নিলামকারী সাইটের পক্ষ থেকে আলাদা করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দাম উল্লেখ করা হয়নি।  


অন্যদিকে ব্যাগটি লুই ভিতোঁ ব্যাগের আদলে তৈরি করা হলেও ব্র্যান্ডটির কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমএসসিএইচএফ-এর চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার কেভিন উইজনার চলতি মাসের শুরুতেই নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


তবে অনুমতি না নিয়ে পণ্য তৈরি করে অন্য কোম্পানির সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরার ঘটনা এমএসসিএইচএফের জন্য নতুন নয়। ২০২১ সালেও কোম্পানিটি নাইকের সাথে জুতার ডিজাইন সংক্রান্ত একটি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.