রোজ ঘুমাতে মাঝ রাত হচ্ছে? বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য



 ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মানে একের পর এক রোগ। অল্প বয়সে প্রায় সকলেই নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ, কিডনির সমস্যা থেকে নানান কঠিন রোগ দেখা দিচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ডায়াবেটিস। বর্তমানে সব থেকে পরিচিত রোগে পরিণত হয়েছে ডায়াবেটিস। এই রোগকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার। কারণ ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হওয়ার অর্থ তা ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণ না করলে একে একে কিডনি, ফুসফুস-সহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তাই সুস্থ আগে থেকে সতর্ক হন। 


ডায়াবেটিস হওয়া আগে থেকে প্রয়োজন সতর্ক হওয়া। এই রোগ কেন হয়, এই প্রশ্ন সকলের মনে। সদ্য প্রকাশিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা রোজ দেরি করে ঘুমাতে যান তাদেক ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিস্তর। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়। সেখানে কিছু মানুষের মধ্যে গবেষণা করা হয়। তাতের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। এদের একদল রোজ তাড়াতাড়ি ঘুমান ও ভোরে তাড়াতাড়ি উঠে পড়েন। আর দ্বিতীয় দলটি দেরি করে ঘুমান ও  সকালে দেরিতে ওঠেন। এই সকল ব্যক্তির শারীরিক গঠন, ইনসুলিন সংবেদবশীলতা ও শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও একাধিক পরীক্ষা করা হয়। এর পর জানা যায়, যারা দেরিতে ঘুমান তাদের শরীরে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝোঁক বেশি। এমনকী, বিপাকীয় সমস্যা ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। 


তাই ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন চাইলে সঠিক সময় ঘুমাতে যান। আর অবশ্যই সঠিক সময় খাদ্যগ্রহণ করুন। সময় মেনে খাবার না খেলে সে খাবার সহজে হজম হয় না। এর প্রভাবে বিপাকীয় সমস্যা দেখা দেয় ফলে বাড়ে শারীরিক জটিলতা। এর সঙ্গে ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সারা দিন যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকুন। তাছাড়া রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুর। এরই সঙ্গে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। স্ট্রেস, মানসিক উদ্বেগ, হতাশার মতো কারণে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস। এই রোগ একবার শরীর বাসা বাঁধলে জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তা না হলে বাড়তে থাকবে শারীরিক জটিলতা।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.