চিনাবাদাম কেন খাবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: চিনাবাদাম অনেকেরই পছন্দের। বিশেষ করে পার্কে বা এদিক–সেদিক বেড়াতে বের হলে চিনাবাদাম খেতে বেশ লাগে। অনেকে আবার চানাচুর থেকে বেছে বেছে বাদামগুলো তুলে খেয়ে নেন। স্বাস্থ্য সচেতন কেউ কেউ আবার ভেজানো বাদামও খান। অনেকের ধারণা, বাদাম খেলে মেদ বাড়ে। বাদামে যে স্নেহপদার্থ রয়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, সেই ফ্যাট যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। এ কারণে নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে।‘জাপান পাবলিক হেল্থ সেন্টার’-এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য— সবই ভালো থাকে নিয়মিত বাদাম খেলে।
প্রোটিন: উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল চিনাবাদাম। প্রতি ১০০ গ্রাম বাদাম থেকে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে শুধু বাদাম ভাজা না খেয়ে পিনাট বাটার, বাদামের তেল, বাদামের আটাও খাওয়া যেতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট: যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে কম ক্যালোরির খাবার খেতে চান তারা বাদাম খেতে পারেন। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও বাদাম উপকারী। কারণ বাদামে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান অনেকটাই কম।
ভিটামিন ই: বাদামে থাকা ভিটামিন ই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
ম্যাগনেশিয়াম: শরীরের বিভিন্ন পেশিকে কার্যকর রাখতে ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের কাজ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ বাদাম। শরীরে শক্তির জোগান দিতে পারে বাদাম।
ফোলেট: কোষের বিভাজন বা নতুন কোষ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ফোলেট। বাদামের মধ্যে এই উপাদানটি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতে, স্নায়ু এবং হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতেও বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।
Post a Comment