প্রসেনজিৎ ও শ্রাবন্তীকে কথা শেখাবেন মিথিলা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ভাষার কথা মাথায় রেখে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র এবার নির্মান করছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে সিনেমা ‘দেবী চৌধুরানী’। এ নিয়ে নির্মাতার প্রস্তুতির খামতি নেই। এরমধ্যে সিনেমাটির সংলাপ কোচ হিসেবে যুক্ত করেছেন দুই বাংলার অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে।

মিথিলা নিজেই বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। তারও আগে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন নির্মাতা শুভ্রজিৎ। ছবিটির মূল দুই চরিত্রে থাকছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।


নির্মাতা জানান, প্রায় তিনশ’ বছর আগের পটভূমিতে তৈরি একটা ছবিতে সেই সময়ের শরীরীভাষা বা কথ্যভাষা একেবারেই আলাদা হওয়ার কথা। সেই সময়ের হাঁটাচলা বা কথাবার্তা বলার ধরণ এখনকার মতো হবে না। সেজন্যই বিষয়টি নিয়ে বেশ সিরিয়াস শুভ্রজিৎ। তার ভাষায়, সিনেমায় একেবারে প্রাচীন ভাষা তুলে আনলে সেটা সিনেম্যাটিক হবে না। তাই আমরা একটা মধ্যপন্থা নেওয়ার কথা ভেবেছি। যেহেতু রংপুর থেকে এই গল্পটা শুরু হয়ে ক্রমশ বৃহত্তর বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে, তাই পূর্ববঙ্গের ভাষার পাশাপাশি পশ্চিমের ভাষাও রাখতে হবে। সেজন্য পূর্ববঙ্গীয় ভাষা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন মিথিলা (রাফিয়াত রশিদ) এবং অন্যান্য তালিম দিচ্ছেন সোহাগ সেন।


এদিকে কোচগিরির কতদূর? জানতে চাইলে মিথিলা জানান, এখনও সরাসরি শুরু করেননি। তবে কাজ এগিয়ে চলছে। চিত্রনাট্য তৈরির পাশাপাশি মিথিলা ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে কোচিং করাচ্ছেন। আর সরাসরি ওয়ার্কশপ করাবেন অক্টোবর থেকে।


সিনেমায় ভবানী পাঠকের চরিত্রে প্রসেনজিৎ আর দেবী চৌধুরানীর ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন শ্রাবন্তী। নির্মাতা শুভ্রজিৎ জানান, বৃষ্টি শেষ হলেই আমরা শুট শুরু করবো। কারণ সেট বানিয়ে লম্বা সময় নিয়ে আমাদের শুটিং চলবে। আড়াই মাস ধরে শুটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের টার্গেট ২০২৪-এর শরৎকালে ছবিটা মুক্তি দেয়ার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.