জোড়া কলা খেলে সত্যিই যমজ সন্তান হয়?
ODD বাংলা ডেস্ক: জোড়া কলা খেলে কি আসলেই যমজ সন্তান হয়—নাকি এটি কেবলই কুসংস্কার? এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই ঘুর ঘুর করছে। গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত এ কথায় অনেকে বিশ্বাসও করেন। এ কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে জোড়া কলা খেতে বারণ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এবং রেইজিং চিলড্রেন নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, কোনো খাবারের সঙ্গে যমজ সন্তান জন্ম নেয়ার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, বিষয়টি কুসংস্কার। কেননা, একজন নারীর একজন বা যমজ সন্তান হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু পুরুষ এ ধরনের ফল খেলে তাহলে কী হবে? অর্থাৎ, এটি কেবলই নিছক মজা করা।
জোড়া কলা বা এই ধরনের যুক্ত ফল খেলে কোনো ক্ষতি নেই। এই ধরনের ফল খেলে যমজ সন্তান হওয়ার বিষয়টি বয়স্ক লোকদের দ্বারা তৈরি কেবলই একটি মজা করা। ফুডলি ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন যমজ সন্তান হয়? সাধারণত দুই প্রকার যমজ সন্তান। আইডেন্টিকাল এবং নন-আইডেন্টিকাল, এই দুইভাবে যমজ সন্তান হয়ে থাকে। একই জাইগোট থেকে সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তানের জন্ম হয়। আর আলাদা জাইগোট থেকে নন-আইডেন্টিকাল যমজ সন্তানের জন্ম হয়।
জাইগোট হচ্ছে যে কোষ থেকে প্রাণের সূচনা হয়। পুরুষের শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, সেই সময় দুটি কোষ একত্র হয়ে একটি একক কোষ তৈরি করে। যাকে বলা হয় জাইগোট। এটি পরবর্তীতে বারবার বিভাজিত হয়ে এক প্রকার কোষগুচ্ছ তৈরি করে। এটি আরও বিভাজিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি করে। আর এই ভ্রূণ থেকে সন্তানের জন্ম হয়।
একই জাইগোট থেকে একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কখনো কখনো একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে জরায়ুর অন্য কোথাও গিয়ে বসে যেতে পারে। আর তখন আলাদা দুই স্থানে থেকে দুটি আলাদা ভ্রূণ হয়। যা থেকে আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান হয়। কারণ, এদের মূল জাইগোট কিন্তু একটিই। এ ক্ষেত্রে জিনগত কোনো পার্থক্য থাকে না এবং এই ধরনের যমজ সন্তানরা দেখতে একই রকমের হয়ে থাকে।
এছাড়া অন্যভাবেও যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। প্রতি মাসে একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালীতে আসে। তবে কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম হয়। কখনো কোনো মাসে দুটি ডিম্বনালিতে আলাদা দুটি ডিম্বাণু এসে থাকে। আর এই ডিম্বাণু দুটি একসঙ্গে নিষিক্ত হলে সেই সময় যমজ সন্তানের জন্ম হয়। যাকে বলা হয় নন-আইডেন্টিকাল যমজ।
Post a Comment