৪০ বছর পর ধরা পড়ল খুনি, যেভাবে নাগাল পেলেন গোয়েন্দারা



ODD বাংলা ডেস্ক: সেই খুনি যা করেছিল তা ৪০ বছর আগে। তখন তার যুবা বয়স। এখন সেই সময়ের অপরাধের অভিযোগে এই ৬৫ বছর বয়সে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।

৪০ বছর আগের কথা। এক যুবতীর সঙ্গে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। শেষবার দেখা গিয়েছিল ওই যুবতীকেও। ৩ সন্তানের জননী ওই রমণী অবশ্য তখন জানতেন না তার পরিচিত। ওই বছর ২৫ এর তরুণ এরই মধ্যে একটি ডাকাতি ও এক নারীর সঙ্গে জোর করে সঙ্গমে অভিযুক্ত।


১৯৮৪ সালে ওই যুবতীকে ওই যুবকের সঙ্গে শেষ দেখা যাওয়ার কয়েকদিন পর তার দেহ উদ্ধার হয় একটি নালার মধ্যে থেকে। দেহ উদ্ধারের পর পরীক্ষা করে দেখা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।


যে আঙুলের ছাপ তার দেহে পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করার পর দেখা যায় ওই যুবকেরই হাতের ছাপ সেগুলো। পুলিশের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় ওই যুবতীকে কে হত্যা করেছে। কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকেই তো পাওয়া যাচ্ছে না। হন্যে হয়ে খুঁজেও পুলিশ তার নাগাল পায়নি।


ফ্লোরিডার বার্ডেন্টন এলাকায় শেষবার ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা যাওয়া ডোনাল্ড স্যান্টিনিকে আর খুঁজে পায়নি পুলিশ। অনেক জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে কার্যত ওই ঘটনা কিছুটা হলেও সময়ের অতলে তলিয়ে যায়।


কিন্তু পুলিশ যে হাল ছাড়েনি তা এই ৪০ বছর পর বোঝা গেল। গোয়েন্দারা যে ডোনাল্ড স্যান্টিনিকে পাকড়াও করতে এখনও তলে তলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তা এতদিন পর প্রমাণ হলো।


ডোনাল্ড স্যান্টিনির এখন ৬৫ বছর বয়স। গোয়েন্দারা তাকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে গ্রেফতার করেছেন। কিন্তু ৪০ বছর পর কীভাবে এটা সম্ভব হলো?


এটুকু জানা যাচ্ছে যে গোয়েন্দাদের হাতে একটিমাত্র ক্লু নাকি ছিল। আর সেটা আঁকড়ে থেকেই ৪০ বছর পর এই অসাধ্য সাধন। কিন্তু পুরো ঘটনাটা কী? কীভাবে ঘটল পুরো ঘটনা? ঠিক কীভাবে ডোনাল্ড স্যান্টিনিকে পাকড়াও করা হল? এসব উত্তর এখনও খোলসা করেনি পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.