নিয়মিত কারি পাতা খাবেন কেন? জেনে নিন এই ৫ টি সুফল সম্পর্কে



 ODD বাংলা ডেস্ক: কারি পাতা  প্রায় কমবেশি সকলেই রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন। এই পাতা হজমশক্তি বাড়ায়, আর পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কারি পাতার ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক।


উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে এই পাতার ব্যবহার বেশি হয়। তরকারি, ডাল, ভাজা, নোনতা সুজি, চিঁড়ের পোলাও ইত্যাদি নানা খাবারে কারি পাতার ব্যবহার রয়েছে। কারিপাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার।


কারিপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে কারি পাতা।


১। হজম ক্ষমতার উন্নতিতে-


প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পুঁথিতে উল্লেখ পাওয়া যায়, কারি পাতায় উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ শুধু যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তা নয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদনদেরও বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে। তাই যারা প্রায়শয়ই বদ-হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের কারি পাতাকে সঙ্গী বানানো মাস্ট।


২। হার্টের ক্ষমতা বাড়ে-


গবেষকদের মতে, কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।


৩। ওজন কমায়- 


কারিপাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করল বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে।

৪। ডায়রিয়া নিরাময়-


সকাল-বিকাল বাইরে খাওয়ার অভ্যাস? তাহলে পেট ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত কারি পাতাও থাওয়া উচিত। আসলে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কারি পাতার অন্দরে উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালয়েড নামক উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।


৫। ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে-


 কারি পাতায় উপস্থিত ফেনলস নামক একটি উপাদান, লিউকোমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.