হেমিংওয়ের মতো চেহারা নিয়ে জড় হয়েছিলেন তারা সবাই, সেরা লুক-অ্যালাইক হলেন কে?



ODD বাংলা ডেস্ক: নিজের ৬৮তম জন্মদিনে অবশেষে 'হেমিংওয়ে লুক-অ্যালাইক' প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন যুক্তরাষ্ট্রের উইজকনসিনের বাসিন্দা, সাদা চুল-সাদা দাড়ির এক বয়স্ক ভদ্রলোক গেরিট মার্শাল। কী ওয়েস্টে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ডেইজ উদযাপন- যা রবিবার শেষ হয়েছে; সেই আয়োজনের একটি প্রধান আকর্ষণ ছিল এই প্রতিযোগিতা।


নোবেলবিজয়ী মার্কিন সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সাথে বিজয়ী গেরিট মার্শালের চেহারার অদ্ভুত মিল! গেরিট মার্শাল ম্যাডিসনের একজন অবসরপ্রাপ্ত টেলিভিশন ব্রডকাস্টার। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর ট্রফিসহ তিনি তা উদযাপন করেছেন স্লোপি জো'স বার-এ। ১৯৩০'র দশকে হেমিংওয়ে যখন কী ওয়েস্টে থাকতেন, তখন এই বারটি ছিল তার আড্ডা দেওয়ার অন্যতম জায়গা।


এদিকে বিজয়ী হওয়ার পর নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গেরিট বলেন, "এটা আমার জীবনের সেরা জন্মদিন।" গেরিটের জন্মদিনও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের জন্মদিনের (২১ জুলাই) মাত্র একদিন পরে। 


একজন কালজয়ী লেখকের চেহারার কাছাকাছি চেহারা নিয়ে গেরিট মোট ১১ বার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ১১তম বারের চেষ্টায় সফল হয়েছেন। প্রতিযোগিতার প্রাথমিক দুটি রাউন্ডে ১৪০ জনকে পেছনে ফেলে অবশেষে শনিবার ফাইনালে গিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।


ক্রীড়াবিদদের পোশাক পরা প্রতিযোগিরা 'পাপা' হেমিংওয়ের বেশে স্লো জো'স-এ প্যারেড করেছেন বিচারকদের সামনে। গেরিট জানান, হেমিংওয়ের সাথে শুধু চেহারার মিলই নয়, আরও কিছু বৈশিষ্ট্যের মিল পাওয়া গেছে তার মধ্যে এবং তিনি নন-ফিকশন ও শর্ট ফিকশন, দুটোই লিখেছেন।


"আমিও হেমিংওয়ের মত আউটডোরে ঘুরে বেড়াতে খুবই পছন্দ করি, আমি মাছ ধরতেও ভীষণ পছন্দ করি", বলেন গেরিট মার্শাল। তবে তিনি রসিকতা করে বলেন, যদিও হেমিংওয়ে চারটি বিয়ে করলেও গেরিট নিজে তা করতে পারেননি।


"আমার শুধুমাত্র একজন স্ত্রী, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না… সে-ই আমার জন্য যথেষ্ট", বলেন তিনি।


এই প্রতিযোগিতা এবং উৎসবের অন্যান্য ইভেন্টের মতো, লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতারও মূল উদ্দেশ্য কীস এর শিক্ষার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা। হেমিংওয়ে লুক-অ্যালাইক সোসাইটির সভাপতি ডেভিড ডগলাস বলেন, তারা আনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার সংগ্রহ করেছেন এবছরের উৎসব থেকে।


হেমিংওয়ে ডেইজ- এর মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিকের লাইফস্টাইল ও সাহিত্যকর্মের প্রতি সম্মান জানানো হয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে কী ওয়েস্টে থাকার সময়টাতেই তিনি 'ফর হুম দ্য বেল টোলস' এবং 'টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট' এর মতো বিখ্যাত বইগুলো লিখেছেন।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.