মৃত্যুর পর এই ভয়ংকর নদী পেরোতে হয় আত্মাকে! জানুন কোথায় আছে বৈতরণী নদী

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নদীকে শুভ বলে মনে করা হয়। যে কারণে গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী নদীগুলি আমাদের দেশে অত্যন্ত পবিত্র নদী। অনেক পুজো ও ধর্মীয় আচার নদীর জলে দাঁড়িয়ে করা হয়ে থাকে। গঙ্গাজলে সব পাপ ধুয়ে যায় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। গঙ্গাজল ছাড়া কোনও পুজো অর্চনা সম্ভব নয়। নদীর ধারে ধারে যেহেতু প্রথম মানব সভ্যতা গড়ে ওঠে, তাই নদীকে মায়ের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।


কিন্তু জানেন কি, হিন্দুধর্মেই এমন একটি নদীর উল্লেখ আছে, যা অত্যন্ত ভয়াবহ। গরুঢ় পুরাণে এই নদীর কথা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা আছে। প্রতিটি মানুষকে মৃত্যুর পর এই নদী পেরোতেই হয়। এই নদীর নাম বৈতরণী নদী। কোনও পাপী আত্মাকে দেখলেই বৈতরণী নদী টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে। জানুন এই নদী সম্পর্কে বিশদে।


কোথায় প্রবাহিত হয় বৈতরণী নদী?


গরুঢ় পুরাণ অনুসারে যমলোক থেকে ৮৬,০০০ যোজন দূরে বৈতরণী নদী প্রবাহিত হয়। কিন্তু জলের বদলে এই নদীতে থাকে শুধুই রক্ত ও পুঁজ। মৃত্যুর পর যখন আত্মাকে যমলোকে যেতে হয়, পথে এই বৈতরণী নদী তাকে পেরোতেই হয়। এই নদীতে কিলবিল করে ঘুরে বেড়ায় ভয়ংকর সব পোকা, কুমীর ও শকুনের মতো সব প্রাণী।


বৈতরণী পেরোতে কাদের কষ্ট হয়?


গরুঢ় পুরাণে বলা আছে যে জীবদ্দশায় যারা খারাপ কাজ করে, মৃত্যুর পর বৈতরণী পেরোতে তাদের অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। যমদূতরা যখন কোনও পাপী আত্মাকে বৈতরণী পার করায়, তখন সেই নদী টগবগ করে ফুটতে শুরু করে। যে ব্যক্তি জীবনে কখনও ভালো কাজ করেনি, অসহায়কে সাহায্য করেনি, বৈতরণী পেরোতে তাকে মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।


বৈতরণী সহজে পেরোতে কী করতে হবে?


গরুঢ় পুরাণে নারায়ণ বলেছেন যে পূণ্যবান আত্মার মৃত্যুর পর বৈতরণী পেরোতে কোনও কষ্ট ভোগ করতে হয়। না। যে ব্যক্তি ধর্মের পথ অনুসরণ করে জীবন কাটান, অনাথ আতুর দরিদ্রদের দিকে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তিনি সহজেই যমলোকের পথে যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন। পূণ্যবান আত্মাকে যমদূতেরা নৌকায় বসিয়ে বৈতরণী নদী পার করায়। পূণ্যাত্মা বৈতরণী পেরনোর সময় এই নদী শীতল হয়ে যায়। শান্ত হয়ে থাকে নদীর সব কুমীর ও পোকা মাকড়রা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.