শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ! অভিযুক্তকে রাস্তায় বেধড়ক মার দুই বোনের

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায়ই করত উত্যক্ত। কখনও হাত ধরে উপহার দেওয়ার চেষ্টা, আবার কখনও জোর করে চুম্বন। একাধিকবার আপত্তি জানালেও লাভ হয়নি। তাই শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে নিজেরাই শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দুই বোন।


দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের উত্যক্ত করার ঘটনা প্রায়ই উঠে আসে শিরোনামে। যা কখনও পুলিশের খাতায় জায়গা পায়, আবার কখনও ফাইলে নথিভুক্ত হলেও আদপে অভিযুক্তের কোনও শাস্তিই হয় না। তাই বোনের সঙ্গে হওয়া ঘটনায় আর পুলিশের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি ছিল না এক কিশোরী। বোনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার প্রতিবাদে এগিয়ে আসে দিদি। অভিযুক্ত যুবককে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করতে শুরু করে দুই বোন। ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়।


ঘটনাটি গুজরাতের আমেদাবাদের। সেখানেই স্কুলে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকদিন ধরে 17 বছরের এক কিশোরীকে বিরক্ত করছিল এক যুবক। ছাত্রীর ঘটনাটিতে ওই কিশোরীর মা জানিয়েছেন, সকালে সাইকেলে করে স্কুলে যাওয়ার সময় সম্প্রতি বিজয় সারকাটে নামে যুবক তাঁর ছোট মেয়ের হাত ধরে উপহার দিতে চায়। কিশোরী আপত্তি জানালে ওই যুবক জোর করে উপহার ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়। একইসঙ্গে জোরপূর্বক চুম্বন করে এবং শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঘটনাটিতে আমার ছোট মেয়ে ভয় পেয়ে যায়। বাড়ি ফিরে সে কান্নাকাটি করে।'


অভিযুক্ত যুবক এর পরের দিন একইভাবে স্কুলে যাওয়ার সময় ছাত্রীর রাস্তা আটকায় এবং জোর করে হাত ধরে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীর মা। সেসময়ে ঘটনাস্থলে কাছেই ছিল ওই ছাত্রীর দিদি। দুই বোন মিলে তখন পুলিশের অপেক্ষা না করে নিজেরাই রাস্তায় ফেলে অভিযুক্তকে মারতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের সাহায্যে আসে অন্যান্য স্কুল ছাত্রীরাও। ঘটনাটিতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরীর মা।


দুই বোনের অভিযুক্তকে মারের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে রয়েছে। আর তাকে বেধড়ক মারছে দুই বোন। এক কিশোরী যুবককে কখনও বেল্ট দিয়ে মারছে, আবার কখনও লাথি মারছে। অন্যজনকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা য়ায়।


ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। 'পুলিশ যখন কিছুই করে না তখন এটাই উচিত শিক্ষা' বলে মত প্রকাশ করেছেন নেটিজেনজের একাংশ। আবার অনেকের মতে, 'আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। '

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.