আর্থিক প্রতারণার শিকার বিবেক ওবেরয়, মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন অভিনেতা

 


ODD বাংলা ডেস্ক:আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন বিবেক ওবেরয়। সদ্য মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। জানা গিয়েচে ১.৫৫ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তাঁর ব্যবসায় অংশীদারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন অভিনেতা।


মুম্বই পুলিশের কাছে তাঁর ব্যবসার পার্টনার সঞ্জয় সাহা ও তাঁর মা নন্দিতা সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরও এক ব্যক্তি রাধিকা নন্দা নাকি তাদের সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে করতে উৎসাহ দেন। প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন বিবেক। তবে, সেই টাকা ব্যবসায় নয় বরং সঞ্জয় সাহা ও তাঁর মা নন্দিতা সাহা তাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন।


২০১৭ সালে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন অভিনেতা। সংস্থার নাম ছিল ওবেরয় অর্গ্যানিক্স। প্রথমে তিনি একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরে লাভ হতে ব্যবসা বাড়াতে থাকেন। তারপর তাঁর ব্যবসায় আরও ২ জন যুক্ত হন। পরে ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনিন্দিতা এন্টারটেনমেন্ট নামে একটি ইভেন্ট ম্যনেজমেন্ট সংস্থা খোলেন। সে সময় তাঁর ওবেরয় অর্গ্যানিক্স নামক সংস্থাটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর নতুন ইভেন্টের সংস্থার নাম রাখেন অনিন্দিতা এন্টারটেনমেন্ট। কোম্পানির রদ বদলের সময় তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানান। সেই সময় কিছু কাগজপত্র তাঁর অজান্তে পরিবর্তন করা হয়। তা অভিনেত বুঝতেও পারেননি। তেমনই ব্যবসায় উন্নতির জন্য ১.৫৫ কোটি টাকা নেওয়া হয় তাঁর থেকে। কিন্তু, সেই টাকা ব্যবহার করা হয়নি ব্যবসায়। বরং, ব্যক্তিগত কাজে সে টাকা ব্যবহার করেছেন তাঁরা। এই কারণে পুলিশের দারস্থ হন বিবেক ওবেরয়।


এদিকে শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল পিএম মোদির ছবিতে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ছবিটি। সেখানে মোদির চরিত্রে অভিনয় করেন বিবেক। তাঁর অভিনয় দক্ষতা দেখে সকলেই চমক পেয়েছিলেন।


এদিকে সদ্য, আইনী মামলা নিয়ে খবরে আসেন আমিশা প্যাটেল। টাকা প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে আমিশা প্যাটেলের। প্রায় ৩ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নায়িকার বিরুদ্ধে। বাউন্স হয়েছে তাঁর দেওয়া চেক। দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর অবশেষে এই বিষয় মুখ খুললেন নায়িকা। বলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ১৭ জুন রাঁচির সিভিল কোর্টে এই চেক বাউন্স মামলায় আত্মসমর্পন করেন অভিনেত্রী। এই কোর্টের সিনিয়র ডিভিশন বেঞ্চের জাজ ডি.এন শুক্লা তাঁকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন। ২১ জুন তাঁকে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.