হিন্দি গানের সঙ্গে পাকিস্তানের 'বৌদি' সীমা হায়দারের তুমুল নাচ
ODD বাংলা ডেস্ক: সীমা হায়দার - প্রেমিকের টানে চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসেছেন। এখন তিনি ভারত ছেড়ে যেতে নারাজ। সেই পাকিস্তানির বৌদি সীমা হায়দারের নাচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গত ১৩ জুলাই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁর মাথায় জ্বল জ্বল করছে সিঁদুর। যদিও এর আগে সীমার একাধিক নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
তবে ১৩ জুলাই সীমা হায়দারের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটিতে একটি হিন্দি গান 'ও মেরে রব্বা তেরা সুক্রিয়া যো ম্য়ায়নে মাঙ্গা ওব মিল গ্যায়' -র তালে তালে নাচতে দেখা গেছে। ভিডিও শেষপ্রান্তে সীমা নিজের সিঁথিতে পরা সিঁদুরও দেখিয়েন ক্যামেরার সামনে। টুইটার ব্যবহারকারী অঙ্কিত রাঠোর ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। ভিডিও ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন 'আপনাদের অনুমান সীমা হায়দার পাকিস্তানের এজেন্ট হতে পারেন?'
সীমা হায়দার পাকিস্তানের এজেন্ট কিনা তা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সীমা যদিও জানিয়েছেন তিনি ভারত ছেড়ে মূলত তাঁর প্রেমিককে ছেড়়ে যেতে নারাজ। পাশাপাশি পাকিস্তানের এজেন্ট কিনা সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে সীমা জানিয়েছিলেন তিনি যদি এজেন্ট হতেন তাহলে চার সন্তান নিয়ে কিছুতেই দেশ ছেড়ে আসতেন না। কোনও মা-ই চায় না সন্তানের জীবন বিপন্ন হোক। অন্যদিকে সীমার স্বামী ছাড়া তার আর কোনও আত্মীয়ই চায় না সীমা পাকিস্তানে ফিরে আসুক।
তবে এদিন উত্তর প্রদেশের এটিএস সূত্রের খবর সীমা পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তার যোগ থাকতে পারে পাকিস্তানের গুপ্তচর বাহিনীর সঙ্গে। সেই কারণে সব নথি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে সীমার স্বামী গোলাম হায়দার জানিয়েছে সীমার কাকা ও ভাই পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর সদস্য। তাই এটিএস তাদের অনুমানের সপক্ষে তথ্য সংগ্রহ করতে উঠেপডে লেগেছে।
পাবজি খেলতে খেতলে সীমা আর শচীন মীনার আলাপ। সেই আলাপই প্রেমে পরিণত হয়। নেপাল হয়ে অবৈধভাবে সীমা হায়দার তার সন্তানদের নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। গ্রেটার নয়ডা একটি বাড়ি ভাড়া করে শচীনের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। পুলিশ গ্রেফতার করলেও আদালত সীমাকে জামিন দেয়। জামিনে বর্তমানে মুক্ত শচীন মীনাও। তবে সবথেকে বড় কথা হল সীমা শচীনের সঙ্গে তার হিন্দু স্ত্রীর মতই থাকে। কপালে চওড়া সিঁদুর - গলায় মঙ্গল সূত্র। সবই হিন্দু ঘরের সধবার মত। পাকিস্তানের গৃহবধূর ছাপ এই অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উধাও।
Post a Comment