শুধুমাত্র জল খেয়েই মেদ ঝরানো কতটা স্বাস্থ্যকর? নতুন গবেষণা রিপোর্টে রয়েছে আশঙ্কা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ওয়াটার ফাস্টিং

ওজন কমানোর পদ্ধতি। এই সময়টা জল ছাড়া আর কিছুই খেতে পারবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এজাতীয় ডায়েটিং করা যায় ২৪-৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত। তবে এর নানা বিধিনিষেধ রয়েছে।


প্রভাব স্পল্পস্থায়ী

ওয়াটার ফাস্টিং-এর প্রভাব স্বল্পস্থায়ী। কারণ কতক্ষণ আপনি শুধুমাত্র জল খেয়েই থাকতে পারবেন তা এখনও স্পষ্ট নয় গবেষকদের কাছে।


নতুন রিসার্চ

ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় শিকাগোর গবেষকরা দেখিয়েছেন যে জল উপবাসের বিপাকীয় উপকারিতা, যেমন নিম্ন রক্তচাপ এবং উন্নত কোলেস্টেরল, রোজা শেষ হওয়ার পরেই গায়েব হয়ে যায়। নতুন গবেষণা তেমনই জানিয়েছে।


ওয়াটার ফাস্টিংএর সময়

ওয়াটার ফাস্টিং যারা করে তারা সেই সময়ে দিনে খুব কম ক্যালোরি গ্রহণ করে। শরীরে যার প্রতিকূল প্রভাব পড়ে বলেও মনে করছেন গবেষকরা।


সময়সীমা পাঁচ দিন

গবেষকদের কথায় চিকিসকদরে পরামর্শ ছাড়া ওয়াটার ফাস্টিং পাঁচ দিনের বেশি করা ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।


স্যুপ আর সরবত

এক গবেষক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জল না পান করে ওয়াটার ফাস্টিংএর সময় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে অল্প করে স্যুপ আর সরবত খাওয়া যেতে পারে। তাতে সমস্যা অনেক কম।


পাঁচ দিনে ওজন কমে

উপবাস স্বল্পমেয়াদী ওজন হ্রাসকে উদ্দীপিত করে বলে মনে হচ্ছে, গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন। যারা পাঁচ দিন উপোস করেছেন তাদের ওজন প্রায় ৪ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ কমেছে।


সমীক্ষা রিপোর্ট

যারা সাত থেকে ১০ দিন উপোস করেছেন তাদের প্রায় ২ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হারান এবং যারা ১৫ থেকে ২০ দিন উপবাস করেছিলেন তাদের ৭ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমে। তবে বেশি দিন ওয়াটার ফাস্টিং না করাই শ্রেয়।


ওয়াটার ফাস্টিংএ সমস্যা

ডায়াবেটিস রোগীদের তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু অনেকেই ওয়াটার ফাস্টিংএর জন্য মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, ক্ষুধা কমে যাওয়ার মত সমস্যা হয়েছে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তবে এটি দেখা গেছে শরীরের নিয়মিত প্রোটিনের প্রয়োদন রয়েছে। এজাতীয় লম্বা উপবাস না করারই পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা ।


বিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা

গবেষক ও চিকিৎসকদের কথায় ওয়াটার ফাস্টিংএর সময় ও পরবর্তীকালে বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। তবে এটি অনেকক্ষেত্রে সুবিধে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.